নেতাজি জন্মদিন: ৫০% শিক্ষক-শিক্ষা কর্মী স্কুলে, পড়ুয়ারা উদযাপন করবেন বাড়িতেই

নেতাজি জন্মদিন: ৫০% শিক্ষক-শিক্ষা কর্মী স্কুলে, পড়ুয়ারা উদযাপন করবেন বাড়িতেই

1b88592f18c334593e624acfe669c232

কলকাতা: আজ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্ম জয়ন্তী। এদিন সব স্কুলে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে বিকাশ ভবন। যদিও পড়ুয়ারা বাড়িতে বসেই উদযাপন করবেন নেতাজির জন্ম জয়ন্তী। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ৫০ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মী আসবেন স্কুলে। একইসঙ্গে দেওয়া হয়েছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য বিশেষ নির্দেশ।

জানানো হয়েছে, ৫০ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে স্কুলগুলিতে পালন হবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম জয়ন্তী। নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান থেকে শুরু করে দেশাত্মবোধক গান এবং স্কুলের প্রধান এবং অন্যান্য শিক্ষকদের বক্তব্য পেশ করতে হবে অনুষ্ঠান করে। এই অনুষ্ঠানের সম্প্রচার করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যা বাড়িতে বসেই দেখবেন পড়ুয়ারা। দুপুর ১২ টা থেকে এই অনুষ্ঠানের অংশীদার হবেন ছাত্র এবং ছাত্রীরা। স্কুল নিজেদের অনুষ্ঠানের ভিডিও স্কুলের ওয়েবসাইটে আপলোড করবে একই সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের জানানো হয়েছে তারাও নিজেদের মতো দেশাত্মবোধক গান, নাচের ভিডিও করে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারবে। সেইসব ভিডিও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করবে। তবে যে সমস্ত স্কুলের নিজস্ব ওয়েবসাইট নেই তাদের এসব করতে হবে না বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। তারা শুধুমাত্র স্কুলে নেতাজির জন্ম জয়ন্তী উদযাপন করবেন নির্ধারিত নির্দেশ মেনে। 

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। যদিও শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের একাংশকে স্কুলে যেতে হচ্ছে মিড ডে মিল, বই এবং পড়ুয়াদের পোশাক বিলির কাজের জন্য। এই পরিস্থিতিতে নির্ধারিত নির্দেশ মেনে এবার তারা স্কুলে পালন করবেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন। প্রসঙ্গত, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে সে ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত সেই ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। এই প্রেক্ষিতে অভিভাবক এবং পড়ুয়াদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাদের একাংশের বক্তব্য, রাজনৈতিক মিটিং এবং মিছিল থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই রাজ্যজুড়ে সম্পন্ন হচ্ছে। কিন্তু এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে না। পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অভিভাবকরা। তবে এই ইস্যুতে যথাযথ ব্যবস্থা খুব শীঘ্রই নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *