CBI দপ্তর অবরুদ্ধ করে নিজাম প্যালেসের বাইরে পুলিশ

কলকাতা: সল্টলেকে সিবিআইয়ের দপ্তর সিজিও কমপ্লেক্স ঘিরে ফেল বিধাননগর পুলিশ৷ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘিরে ফেলেছে পুলিশ৷ সিজিও কমপ্লেক্সের প্রতিটি গেটে মোতায়ন করে রাখা হয়েছে পুলিশ৷ কাউকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরতে দেওয়া হচ্ছে না৷ কিন্তু, কী কারণে এই পুলিশি মোতায়েন তা এখনও জানা যায়নি৷ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে সিজিও কমপ্লেক্স৷ একই সঙ্গে সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টরের বাড়ি

CBI দপ্তর অবরুদ্ধ করে নিজাম প্যালেসের বাইরে পুলিশ

কলকাতা: সল্টলেকে সিবিআইয়ের দপ্তর সিজিও কমপ্লেক্স ঘিরে ফেল বিধাননগর পুলিশ৷ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘিরে ফেলেছে পুলিশ৷ সিজিও কমপ্লেক্সের প্রতিটি গেটে মোতায়ন করে রাখা হয়েছে পুলিশ৷ কাউকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরতে দেওয়া হচ্ছে না৷ কিন্তু, কী কারণে এই পুলিশি মোতায়েন তা এখনও জানা যায়নি৷ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে সিজিও কমপ্লেক্স৷ একই সঙ্গে সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টরের বাড়ি ও অফিসে পৌঁছে গিয়েছে পুলিশ৷ নিজাম প্যালেসেও পৌঁছে গিয়েছে বিশাল পুলিশ৷

 

রাজীব কুমারের বাড়িতে CBI অভিযান৷ সিসিআই আধিকারিকদের আটক করল কলকাতা পুলিশ, খবর সংবাদ মাধ্যম সূত্র৷ সেক্সপিয়র সরণি থানার মধ্যে সিবিআই আধিকারিকদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ এদিন সিবিআই আধিকারিক তথাগত বর্মণকে রাস্তা থেকে টেনে হেঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়৷ রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে যে আধিকারিকরা ছিলেন, তাঁদের সেক্সপিয়র সরণি থানার তুলে নিয়ে আনা হয়৷ পার্কস্ট্রিস থানা থেকেও সিবিআই আধিকারিকদেরও সেক্সপিয়র সরণি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ সিবিআই আধিকারিকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না তা পুলিশের তরফে জানানো হয়নি৷ কেন তাঁদের রাস্তা থেকে টেনে হেঁচড়ে কেন পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হল, তাও পুলিশের তরফে জানানো হয়নি৷এদিনের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির খবর পেয়ে রাজীব কুমারের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ এডিজি আইনশৃঙ্খলা রাজীব কুমারের বাড়িতে যান৷ পৌঁছান মেয়র ফিরহাদ হাকিম৷

এদিন সন্ধ্যায় সিবিআইয়ের একটি দল লাউডন স্ট্রিটে রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে যায়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে যান দুই পুলিশ কর্তা সহ বিশাল পুলিশবাহিনী৷ দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনার পর সিবিআইয়ের কয়েকজন গোয়েন্দা শেক্সপীয়র সরণী থানায় যান৷ বাকিরা অপেক্ষা করছিলেন নগরপালের বাড়ির বাইরে৷ কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা জানালেও তা মানতে নারাজ ছিলেন তাঁরা৷ এরপর ওই সিবিআই আধিকারিকদের আটক করে শেক্সপীয়র সরণী থানায় নিয়ে যায় পুলিশ৷ এর কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী ও এডিজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মা৷ পরে সিবিআই আধিকারিক তথাগত বর্ধনকেও আটক করে পুলিশ৷ পাশাপাশি সল্টলেকে সিবিআইয়ের দপ্তর সিজিও কমপ্লেক্স ঘিরে ফেলেছে পুলিশ৷

এদিন রাজীব কুমারের বাড়িতে CBI অভিযানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশের৷ আজ, সন্ধ্যায় CBI-এর ৪০ জনের একটি দল রাজীব কুমারের বাড়িতে যান৷ এদিন কলকাতা পুলিশের তরফে থানায় যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়৷ বাধা পেয়ে থানায় জানা সিবিআইয়ের কর্তারা৷ এদিন প্রথমে সিবিআইয়ের একটি দল পার্কস্ট্রিস থানায় যায়৷ সেখানে একটি চিঠি দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকার করতে বলা হয় সিবিআইয়ের তরফে৷ পুলিশের তরফে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়৷ পরে, আরও একটি দল সেক্সপিয়র সরণি থানায় যায়৷এদিন সিবিআইয়ের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন কলকাতা পুলিশের তিন জন ডেপুটিকমিশনার৷

এদিন, সন্ধ্যায় রাজীব কুমারের লাউডন স্ট্রিটের বাড়ির সামনে সিবিআই আধিকারিকদের আটকানো হয়৷ সিবিআই আধিকারিকদের থানায় যেতে বলা হয়৷ রাস্তার উপর পুলিশ ও সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে বচসা তৈরি হয়৷ প্রায় আধঘণ্টা উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়৷

সারদাকাণ্ডে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে সিবিআই তলব প্রসঙ্গে ১০টি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অস্বীকার করে কলকাতা পুলিশ৷ রবিবার কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে বিবৃতি দিয়ে দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শনিবার থেকে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের ‘খোঁজ’ করছে সিবিআই, এই সংক্রান্ত খবর ভিত্তিহীন৷ তিনি দফতরেই রয়েছেন৷ এই ধরনের খবর প্রকাশিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমগুলির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়৷

এদিন বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, কলকাতা পুলিশ কমিশনার শহরেই রয়েছেন৷ নিয়মিত অফিসেও আসছেন৷ মাঝে ৩১ জানুয়ারি একদিনের জন্য ছুটি নিয়েছিলেন৷ তাঁকে নিয়ে ভিত্তিহীন খবর ছড়ানোর হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে৷ বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, সঠিক তথ্য জোগাড় না করে কলকাতা পুলিশ ও কমিশনারের মানহানি করা হয়ে থাকলে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করা হবে৷ এই বিবৃতির পরই আজ, সন্ধ্যায় রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে হাজির হন সিবিআইয়ের ৪০ জনের একটি দল৷ যদিও সিবিআইয়ের অভিযান প্রসঙ্গে রবিবার সন্ধ্যা ৬:৩৫ পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের তরফে কোনও বিবৃতি বা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়নি৷

রবিবার রাজীব কুমারকে নিয়ে ‘ভিত্তিহীন’ খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই টুইটারে প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলেন তিনি৷ পুলিশ কমিশনারের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘‘প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি৷ ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিসকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে৷ এটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে৷ কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিশ্বের অন্যতম সেরা আধিকারিক৷ তাঁর সাহস, সততা প্রশ্নাতীত৷ তাঁর একদিনের ছুটি নিয়ে মিথ্যা রটানো হচ্ছে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × two =