নিজেকে বাঁচাতে রাজীব কুমারের পাশে মমতা! অভিযোগ বিজেপির

কলকাতা: নগরপালের বাড়িতে হানা দিয়েছেন সিবিআই কর্তারা, এই ঘটনায় সাংবিধানিক আঘাতের উল্লেখ করে সত্যাগ্রহে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাত থেকেই চেনা ছবি ফের দেখছে কলকাতা। একইভাবে এই ঘটনার প্রতিবাদে সংসদে সরব হয়েছেন তৃণমূলের সাংসদরা। এই সিবিআই হানার প্রসঙ্গে তৃণমূলের পাশে রয়েছে বিজেডি ও কংগ্রেস। রাজনৈতিক কাজে সিবিআইকে ব্যবহার করছে কেন্দ্র এই অভিযোগ তুলে এদিন

নিজেকে বাঁচাতে রাজীব কুমারের পাশে মমতা! অভিযোগ বিজেপির

কলকাতা: নগরপালের বাড়িতে হানা দিয়েছেন সিবিআই কর্তারা, এই ঘটনায় সাংবিধানিক আঘাতের উল্লেখ করে সত্যাগ্রহে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাত থেকেই চেনা ছবি ফের দেখছে কলকাতা। একইভাবে এই ঘটনার প্রতিবাদে সংসদে সরব হয়েছেন তৃণমূলের সাংসদরা। এই সিবিআই হানার প্রসঙ্গে তৃণমূলের পাশে রয়েছে বিজেডি ও কংগ্রেস।

রাজনৈতিক কাজে সিবিআইকে ব্যবহার করছে কেন্দ্র এই অভিযোগ তুলে এদিন সংসদে তৃণমূলের পাশে দাঁড়ান কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। তাঁর মতে গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরছে বিজেপি, দেশজুড়ে কেউ যদি কেন্দ্রের বিরোধিতা করেছেন তাহলে তাঁর আর রক্ষে নেই। তাঁকে কীভাবে বিভিন্ন মামলায় অন্যায়ভাবে ফাঁসিয়ে কণ্ঠরোধ করতে হয় তা বিজেপি ভালভাবে জানে। তবে এভাবে বেশিদিন রোখা যায় না। এদিন সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই সিবিআইয়ের বিরোধিতা করে হট্টগোল শুরু করেন তৃণমূলের সাংসদরা। ওয়েলে নেমে শুরু হয় বিক্ষোভ রীতিমতো ঝড় ওঠে সংসদে। বাধ্যহয়েই সংসদের উচ্চ ও নিম্নকক্ষের অধিবেশন দফায় দফায় মুলতুবি করে দিতে বাধ্যহন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন।

এদিকে সিপি রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা নিয়ে বিজেপি শিবিরে কটাক্ষ শুরু হয়েছে।কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন, তৃণমূলের নেতামন্ত্রীদের অনেকেই সারদাকাণ্ডে ফেঁসে জেলে গিয়েছেন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস পাল, মদন মিত্র,তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ মুকুল রায়কে বারবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। কিন্তু কোনওবারই দলীয় স্বার্থ রক্ষার্থে রাজপথে ধরনায় বসেননি তৃণমূল নেত্রী। আচমকাই নগরপালের জেরার প্রসঙ্গ উঠতে তিনি সমস্ত প্রটোকল ভেঙে তাঁর বাড়িতে গিয়ে ক্যাবিনেট বৈঠক করলেন। এর নেপথ্যে অন্যকোনও ঘটনা রয়েছে,তাহলে সারদা কাণ্ডের কোনও গোপন তথ্য রয়েছে সিপির হাত, যা প্রকাশ্যে এলে বিপদে পড়তে পারেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তাই তড়িঘড়ি ধরনায় বসে সেই বিপদের মুখে লাগাম দিতে চাইছেন তিনি। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কাকে কোন খাতে কতটাকা দিয়েছেন তার যাবতীয় হিসেব রয়েছে লাবল ডায়রি ও কয়েকটি পেনড্রাইভে। সারদা কেলেঙ্কারিতে তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত এগুলির হদিশ পায়নি সিবিআই। সম্ভবত রাজীব কুমারকে জেরা করলেই কেলেঙ্কারির মূলে পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে। তাই নিজেকে বাঁচাতে সিপির জেরা আটকাচ্ছন মমতা। এমনই কথা বলেছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয় বর্গীয়।

এই মুহূর্তে মেট্রো চ্যানেলে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসেছেন মমতা। তাঁর দাবি, বিজেপির দৌলতে গোটা দেশে গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত। ধরনা মঞ্চের পিছনে চলছে বৈঠক, বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এদিকে ধরনার সমর্থনে ইতিমধ্যেই মমতাকে ফোন করেছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু ও স্ট্যালিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 − 2 =