UPSC-র প্রস্তুতি নিচ্ছেন? পরীক্ষার আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখা জরুরি!

UPSC-র প্রস্তুতি নিচ্ছেন? পরীক্ষার আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখা জরুরি!

39838da1640e8b7f137e055c4d421bf0

 

নয়াদিল্লি: দেশের সবথেকে কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি হল UPSC। লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষার জন্য নিজেদের সবকিছু দিয়ে প্রস্তুতি নেয় কিন্তু খুব কম সংখ্যক পরীক্ষার্থী নিজেদের স্বপ্ন সফল করতে পারে। যারা সাফল্য পায় তাদের থেকে বাকিদের তফাৎ কোথায় সেই বিষয়টি উপলব্ধি করা প্রচন্ড জরুরী। কারণ নির্দিষ্ট সেই বিষয়গুলি একজন সফল এবং একজন অসফল পরীক্ষার্থীর মধ্যে পার্থক্য বুঝিয়ে দেয়। তাই শুধু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলে হবে না। নিজেকে একেবারে অন্য ভাবে তৈরি করতে হবে। তাহলেই হয়তো আর পাঁচজনের থেকে নিজেকে আলাদা করা সম্ভব।

UPSC NDA পরীক্ষা দেওয়ার সময় যা মাথায় রাখতে হবে

দেশের জন্য কাজ করতে পারার যে অনুভূতি সেই অনুভূতির সঙ্গে অন্য কোন কিছুর তুলনা করা যায় না। আর এই অনুভূতি পাওয়ার জন্য UPSC NDA পরীক্ষা পাস করা খুব জরুরি। লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর প্রত্যেক বছর এই পরীক্ষা দেন কিন্তু তাদের মধ্যে অল্প কয়েকজন চূড়ান্ত সুযোগ পায়। যারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় তাদের সঙ্গে বাকিদের তফাৎ কোথায়? প্রত্যেকেই জানি যে এই পরীক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হল কে উপযুক্ত তা বিচার করে নেওয়া। লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর বেশ কয়েকটি গুণ সম্পর্কে জানা যায়। মূলত পরিকল্পনা এবং কৌশলগত দিকে সে কতটা দক্ষ সেটা যাচাই করা হয়। বেশিরভাগ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে না।

তাহলে UPSC NDA পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য সঠিক পরিকল্পনা এবং কৌশল কী হতে পারে?

NDA পরীক্ষার জন্য অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনার সাজিয়ে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। কেমন পরিকল্পনা করলে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া যাবে তার একটা ব্যাখ্যা দেওয়া হল নিম্ন লিখিত রূপে:

আসল পরীক্ষার দিন থেকে ১৫ দিন আগে মনে করতে হবে পরীক্ষা 

ডেডলাইন অনুসরণ না করে বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করতে হবে। আসল পরীক্ষার দিন অনুযায়ী পড়াশোনা না করে মনে করতে হবে পরীক্ষার দিন অনেক আগে। নির্ধারিত পরীক্ষার দিনের কমপক্ষে ১৫ দিন আগে পরীক্ষা হবে বলে মনে করতে হবে এবং সেই হিসাবে পরিকল্পনা সাজাতে হবে। এইভাবে পরীক্ষার জন্য তৈরি হতে শুরু করলে অন্যদের তুলনায় ন্যূনতম ১৫ দিন এগিয়ে থাকা সম্ভব হবে। সেই মতো পরিকল্পনা নিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে। বাকি যে ১৫ দিন পড়ে থাকবে সেই দিনগুলোতে যে টপিক গুলোতে বেশি নম্বর পাওয়া যায় সেগুলোতে আরো বেশি করে সময় দিতে হবে।

অতীতের প্রশ্নপত্র অনুযায়ী স্কোরিং টপিক সাজাতে হবে

যে অতীত থেকে কিছু শেখে না সে ভবিষ্যতে কিছু করতে পারে না। এই পরীক্ষা দেওয়ার সঙ্গে এই ধারণার প্রচুর মিল রয়েছে। অতীতের সঙ্গে বর্তমান পরীক্ষার মেলবন্ধন ঘটিয়ে এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি সারতে হবে। বুঝতে হবে অতীতে কী ধরনের প্রশ্ন এসেছে এবং বর্তমানে কী ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে। কমপক্ষে তিন থেকে চার বছর আগের প্রশ্নপত্র ভাল করে খেয়াল করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে। নিজের মত তালিকা তৈরি করে সেই অনুযায়ী পড়াশোনা করতে হবে এবং নিজেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে কোন টপিক গুলো থেকে বেশি নম্বর আসতে পারে। আর যে টপিকগুলো সিলেবাসে রয়েছে কিন্তু খুব কম প্রশ্নপত্রে এসেছে সেগুলোকে তালিকার সবথেকে তলায় রাখতে হবে।

মক টেস্ট দিতে হবে নিজের শক্তি আর দুর্বলতা পরীক্ষা করার জন্য

পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় শুধু পড়াশোনা করে গেলে হবে না মক টেস্ট দিতে হবে সময় করে। এই ধরনের মক টেস্ট দিয়ে নিজের শক্তি এবং দুর্বলতা দুটোই প্রত্যক্ষ করা যাবে। পরীক্ষার প্রস্তুতির গতি বাড়াতে শুধু মক টেস্ট নয়, প্রস্তুতি কেমন হচ্ছে সেটা দেখতে গেলেও এই মক টেস্ট জরুরি।

স্পেশাল ফোকাশ রাখতে হবে ইংলিশ এবং সাধারণ জ্ঞানে

এই পরীক্ষা দিতে গেলে প্রত্যেক বিষয়ে ভালো হতে হবে এটা একেবারেই সত্যিই কিন্তু বিশেষ করে নজর দিতে হবে ইংলিশ এবং সাধারণ জ্ঞানে। কারণ লিখিত পরীক্ষায় পাস করে যাওয়ার পর সবাইকে ইন্টারভিউয়ে বসতে হবে। সেখানে পরীক্ষার্থীর ইংলিশ এবং সাধারণ জ্ঞান কতটা ভালো সেটা যাচাই করা হবে।

একসঙ্গে লিখিত পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে

এডমিট কার্ডের অপেক্ষায় বসে থেকে সময় নষ্ট করলে হবে না। ইন্টারভিউয়ের জন্য লিখিত পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গেই প্রস্তুতি নিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। প্রত্যেকদিন কয়েক ঘণ্টা শুধুমাত্র ইন্টারভিউ নিয়ে ভাবতে হবে এবং সেই অনুযায়ী নিজের কমিউনিকেশন স্কিল, ইন্টারভিউ প্রশ্ন এবং গ্রুপ ডিসকাশন নিয়ে ভাবতে হবে। লক্ষ্য শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষা পাশ করা নয়, লক্ষ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। আরো সামগ্রিকভাবে সেটা তখনই সম্ভব যখন লিখিত পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউয়ের জন্য একসঙ্গে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে।

এই প্রতিবেদন থেকে কী শেখা যাবে?

NDA পরীক্ষা শুধুমাত্র জ্ঞানের পরীক্ষা নয়, ব্যক্তিত্বের পরীক্ষা। সঠিক পরিকল্পনার না করে এগোলে ব্যর্থ হতেই হবে। মনে রাখতে হবে হাজার হাজার পরীক্ষার্থী ইন্টারভিউ পর্যন্ত যায় কিন্তু মাত্র কয়েকজন সিলেক্ট হয়। তার কারণ তাদের সেই ভাবেই পরিকল্পনা থাকে। তাই নিজের মধ্যে সেই পরিকল্পনা এবং কৌশল এবং একইসঙ্গে আত্মবিশ্বাস জাগাতে হবে, তারপর নিজের স্বপ্ন সত্যি করার জন্য এগোতে হবে।

Sponsored Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *