চেন্নাই: করোনা সংক্রমণের দাপট কমছে৷ ফলে বিভিন্ন রাজ্যে চালু হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ এবার সেই পথে হেঁটে তামিলনাড়ুও স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করে দিল৷ স্বভাবতই, বাংলার অভিভাবক, শিক্ষক এবং পড়ুয়া মহল তাকিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্তের দিকে৷ তাঁরা বলছেন, ‘‘সবই তো ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে৷ তাহলে খামোখা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর ক্ষেত্রে অনীহা কেন?’’
তামিলনাড়ুর সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, ১ সেপ্টেম্বর থেকে নবম শ্রেণি ও তার উর্ধ্বদের অফলাইন ক্লাস শুরু হবে৷ প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস কবে থেকে চালু হবে, সেবিষয়ে ১৫ সেপ্টেম্বরের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একই সঙ্গে চালু হচ্ছে কলেজ এবং পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানগুলি৷ তবে রোটেশন পদ্ধতিতে অর্থাৎ একদিন ছাড়া খুলবে কলেজ এবং পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানগুলি৷ এজন্য সমস্ত কলেজ কর্মী এবং বাকি সদস্যদের টিকাকরণের বিষয়টি আগে নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছি নির্দেশিকায়৷ সূত্রের খবর, তামিলনাড়ুতে ইতিমধ্যেই ২ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম টিকা এবং ৫২ লক্ষ মানুষ দুটি টিকায় পেয়ে গিয়েছেন।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার কথায়, বাংলাতেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠা চালুর বিষয়ে আলোচনা চলছে৷ তবে তৃতীয় ঢেউ যেহেতু দোরগড়ায় তাই আমরা সবদিক যাচাই করে নিতে চাইছি৷ ওই কর্তার কথায়, ‘‘আমাদের রাজ্যে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা টিকা৷ বহু মানুষ এখনও একটি ডোজও পাননি৷ আবার অনেকে শুধুমাত্র প্রথম ডোজটি পেয়েছেন৷ এই আবহে এক সঙ্গে সব খুলে দিলে তৃতীয় ঢেউ এ আরও বেশি সমস্যা বাড়তে পারে৷’’
ক’দিন আগেই লকডাউন প্রসঙ্গে নিয়ম কানুনে কিছু শিথিলতা আনতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘‘অনেকেই বলছেন, আমরা স্কুল কেন খুলছি না৷ কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কিছুটা দেরি হচ্ছে৷’’ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, পুজোর পর একদিন ছাড়া একদিন স্কুল খোলার বিষয়ে ভাবনা রয়েছে রাজ্য সরকারের।