রাজ্যের বদলি নীতির জেরেই কি প্রাণ গেল প্রাথমিক শিক্ষকের

গোসাবা: রাজ্য সরকারের বদলি নীতির ‘বলি’ হলেন এক প্রাথমিক শিক্ষক। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন গোসাবার সহচরী মৃধা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহশিক্ষক গোপালচন্দ্র সরদার। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৬ বছর। সুন্দরবনের গোসাবা দ্বীপের লাহিড়ীপুর অঞ্চলের লাক্সবাগান গ্রামে তাঁর বাড়ি। গত ৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ৪৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষককে বদলি করা হয়। একইভাবে এ রাজ্যের

af5b136260abd4311ac913e743b015f3

রাজ্যের বদলি নীতির জেরেই কি প্রাণ গেল প্রাথমিক শিক্ষকের

গোসাবা: রাজ্য সরকারের বদলি নীতির ‘বলি’ হলেন এক প্রাথমিক শিক্ষক। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন গোসাবার সহচরী মৃধা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহশিক্ষক গোপালচন্দ্র সরদার। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৬ বছর। সুন্দরবনের গোসাবা দ্বীপের লাহিড়ীপুর অঞ্চলের লাক্সবাগান গ্রামে তাঁর বাড়ি।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ৪৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষককে বদলি করা হয়। একইভাবে এ রাজ্যের ৬ জেলায় ২২৬৪ জন শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করার ঘটনায় শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। প্রতিবাদে বদলির নির্দেশনামা প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হয় এবিপিটিএ।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতিকে জেলা সংগঠনের তরফ থেকে ডেপুটেশনও দেওয়া হয়। বদলির নির্দেশনামা হাতে পাওয়ার পর থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। আতঙ্কের মধ্যে পড়েন শিক্ষকরা। গোসাবার লাহিড়ীপুর অঞ্চলের পরশমণি গ্রামে সহচরী মৃধা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক গোপালচন্দ্র সরদার বদলির নির্দেশনামা হাতে পাওয়ার পরই দুশ্চিন্তায় পড়েন। তাঁর সহকর্মী শিক্ষকরা এদিন বলেন, তাঁকে চরঘেরি বিধান কলোনি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়। তাঁরা জানান, তাঁর বাড়ি থেকে সহচরি মৃধা বিদ্যালয়ে সাইকেলে যাতায়াত করতেন গোপালচন্দ্র সরদার। বাড়ি থেকে যেতে সাইকেলে দশ মিনিট সময় লাগতো। বাড়িতে তাঁর অসুস্থ বাবা রয়েছেন। বদলির ফলে চরঘেরি বিদ্যালয়ে যেতে সময় লাগে প্রায় আধঘণ্টা। এই পরিস্থিতিতে বদলির ফলে দুশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি। মানসিকভাবে ভেঙেও পড়েন। এদিন হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে গোসাবা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *