ফিরল টেলিফোনিক ক্লাস, অনলাইনের ফাঁক মেটাতে বড়দের স্কুলে ডেকে পড়াবেন শিক্ষকরা

ফিরল টেলিফোনিক ক্লাস, অনলাইনের ফাঁক মেটাতে বড়দের স্কুলে ডেকে পড়াবেন শিক্ষকরা

কলকাতা: সারা দেশে আছড়ে পড়েছে কোরনার তৃতীয় ঢেউ৷ এই অবস্থায় ফের স্কুলের দরজা বন্ধ করেছে রাজ্য সরকার৷ কিন্তু তা বলে তো শিক্ষার প্রসার বন্ধ রাখা যায় না! তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে ফের টিলিফোনিক ক্লাস চালু করল স্কুল শিক্ষা দফতর৷ সোমবার থেকেই চালু হয়ে গেল ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য টেলিফোনিক শিক্ষা৷ রবিবার বাদে প্রতিদিনই ফোনে পড়ুয়াদের সমস্যার সমাধান করবেন শিক্ষকরা৷ 

আরও পড়ুন- শক্তি হারাচ্ছে সংক্রমণ, স্কুল বন্ধ রাখাটাই যুক্তিহীন: বিশ্বব্যাঙ্ক কর্তা

স্কুল শিক্ষা দফতরের তত্ত্বাবধানে এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরিচালনায় ‘বাংলার‌ শিক্ষা দূরভাষে’ নামে একটি উদ্যোগ শুরু হয়েছে। ১৮০০১২৩২৮২৩- এই টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করলেই পড়ুয়ারা শিক্ষকদের কাছ থেকে পাঠ নিতে পারবে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টার মধ্যে ফোন করতে হবে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের। আর নবম থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের ফোন করার সময় দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটে৷ 

শিক্ষা দফতর জানাচ্ছেন,  স্কুল বন্ধ রাখার অর্থ এই নয় যে পড়াশোনাও বন্ধ থাকবে। বিকল্প পথ যখন রয়েছে, তখন তা ব্যবহার করা হবে না কেন। তাছাড়া পড়ুয়ারা যাতে সঠিক ভাবে পঠন–পাঠন চালিয়ে যেতে পারে সেটা দেখাও স্কুল শিক্ষা দফতরের লক্ষ্য৷ সেই উদ্দেশেই এই  টেলিফোনিক ক্লাস। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের শেষে প্রথন এই ক্লাস চালু করা হয়৷ 

অন্যদিকে, অনলাইন ক্লাস করতে গিয়ে অনেক সময়েই ফাঁক ফোঁকড় থেকে যাচ্ছে৷ বিশেষ করে নবম শ্রেণির পর থেকে পড়ুয়াদের একাংশের পড়া বুঝতে সমস্যা হচ্ছে৷ অনেকে হয়তো গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে পড়া বুঝে নিচ্ছেন৷ কিন্তু অনেকেরই আবার গৃহশিক্ষক রাখার ক্ষমতা নেই৷ সেই ফাঁক মেটাতেই স্কুলে ডেকে পড়ুয়াদের পড়া বোঝানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন শিক্ষকদের একাংশ৷ একাধিক স্কুল এই বিষয়ে উদ্যোগ নিতে শুরু করে দিয়েছে৷ 

বলা হয়েছে, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে স্কুলে উপস্থিত থাকবেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষকরা। যে সকল পড়ুয়া অনলাইনে পড়া বুঝতে পারছে না, তারা স্কুলে এসে শিক্ষকের কাছ থেকে পড়া বুঝে নিতে পারবে। মূলত দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের একাংশকে ছোট ছোট দলে ভাগ করে স্কুলে ডেকে নিয়ে এস পড়া বোঝানোর ভাবনা-চিন্তা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কারণ সামনেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষার সময় তাঁদের যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়, তার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত৷   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 2 =