পানিহাটি: ১৬ তারিখ অর্থাৎ বুধবার থেকে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্কুল। গতকাল এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। কোভিড বিধি মেনেই এই স্কুল চলবে বলে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। স্কুল খুলে যাচ্ছে মানে স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষা এখন অফলাইনেই হওয়ার কথা। প্রায় ২ বছর পর এখন খুলছে স্কুল, কিন্তু দিন হিসেবে পরীক্ষা একেবারে দোরগোড়ায় চলে এসেছে পড়ুয়াদের। তাই এইভাবে আচমকা স্কুল খুলেই কী ভাবে বাচ্চাদের অফলাইন পরীক্ষা হবে তা নিয়ে ধন্দ দেখা দিয়েছে অভিভাবকদের একাংশের মধ্যে। এই ‘হঠকারি’ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছে তাদের একটা অংশ।
আরও পড়ুন- ছাপ্পা হতেই পারে! কিন্তু… ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূল বিধায়ক
আজ পানিহাটি সেন্ট জেভিয়ারস স্কুলের সামনে পঞ্চম এবং ষষ্ট শ্রেণির পড়ুয়াদের অভিভাবকদের একাংশ উপস্থিত হয়েছিল। তাদের বক্তব্য, স্কুলের তরফ থেকে অফলাইন পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং তার দিন ঘোষণা করা হয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি। হাতে গোনা আর ৫ দিন বাকি পরীক্ষার। এই ক’দিনের মধ্যে কী ভাবে এই পরীক্ষা হবে, বা বাচ্চাদের কী অসুবিধা হবে, সব নিয়ে একবার আলোচনা চেয়েছিলেন তারা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। কিন্তু তারা জানাচ্ছেন, প্রথমত স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের অনেকের সঙ্গে কোনও আলোচনা করতে চায়নি, পরে তাদের কথা শুনে তারা স্পষ্ট দাবি করেছে যে, স্কুলের ওপর অভিভাবকরা ‘মাফিয়া’দের মতো হামলা করেছে। আর তারা বাচ্চাদের জন্য সকলে অফলাইন পরীক্ষা চাইছেন কারণ তাদের বাচ্চারা পড়াশুনা করেনি, দেখে দেখে পরীক্ষা দেবে। অভিভাবকদের আরও অভিযোগ, তাদের সব কথা শুনে স্কুলের সেক্রেটারি ‘পরামর্শ’ দিয়ে বলেছেন যে, যাদের সমস্যা হবে তারা যেন তাদের বাচ্চাদের স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যান।
প্রতিবাদী অভিভাবকরা আরও জানাচ্ছেন, তারা সকলেই চান তাদের বাচ্চারা স্কুলে গিয়ে পড়াশুনা করুক। কিন্তু যেখানে ২ বছর ধরে স্কুল পড়াশুনাই হল না, সেখানে হঠাৎ বার্ষিক পরীক্ষার ৫ দিন আগে স্কুল খুলেই বলা হচ্ছে অফলাইন পরীক্ষা হবে। এতদিন বাচ্চারা অনলাইন পড়াশুনা করল, এখন আচমকা ফাইনাল পরীক্ষা অফলাইন দেওয়ার জন্য মানসিক স্থিতি নেই তাদের বলেও দাবি করা হচ্ছে। তারা এও বলছেন যে, সরকার স্কুল খুলতে নির্দেশ দিয়েছে, পরীক্ষা যে স্কুল থেকেই নিতে হবে এমনটা বলা হয়নি। আর বাচ্চাদের এখনও ভ্যাকসিনও হয়নি। তাই এই অবস্থায় তারা কী করবে সেটা ভেবে সকলেই দিশাহীন।