নয়াদিল্লি: বিদেশে পড়ছিলেন? এখন দেশে আছেন? করোনা অতিমারী তো আগেই বন্দি করেছে, এবার ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি বিদেশে শিক্ষা অর্জনের ভবিষ্যতে কালো মেঘ এর মত ছেয়ে আছে। মেঘ কেটে ঝক ঝকে আকাশ এখন কল্পনা। আর যারা ইতিমধ্যেই শিক্ষা চলাকালীন কোন ক্রমে দেশে ফিরে এসেছেন। তাদের অবস্থা আরও করুন। অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে অনলাইন শিক্ষাকে ভারত সরকার মান্যতা দিচ্ছে না। ফলে প্রশ্নের মুখে বড় সংখ্যক বিদেশে পাঠরত ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ।
করোনা আর যুদ্ধের জোড়া বাণে দেশের বাইরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির ঝাঁপ বন্ধ। সময়ে পাঠ্যক্রম শেষ করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি অনলাইন পদ্ধতিতে পড়ানোয় আগ্রহ দেখাচ্ছে । কিন্তু ভারত সরকার কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে এ ধরনের অনলাইন শিক্ষাকে মান্যতা না দেওয়ায় প্রশ্নের মুখে বড় সংখ্যক বিদেশ পাঠরত ভারতীয় পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ। দু’বছরের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক মহলে অস্থিরতা ফলে অসুবিধা তে পড়েছেন বিদেশে পড়তে যাওয়া বহু ভারতীয় শিক্ষার্থী। University Grants Commission of India (UGC) ও অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন ( AICTE) নির্দেশিকা জারি করে। সেখানে বলা হয়, ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে মিল রয়েছে এমন দেশের পাঠ্যক্রমকেই বেছে নিক বাইরে পড়তে যাওয়া পড়ুয়ারা। যাতে পাঠ্যক্রম অর্ধেক শেষ করে ভারতে ফিরে এলেও এ দেশে বাকি পড়া শেষ করার সুযোগ পাওয়া যায়। UGC – র চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমারমের কথায়, ‘‘যাঁরা চীনে পড়তে গিয়েছিলেন, তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি করোনার কারণে এখন পাঠ্যক্রম শেষ করানোর জন্য অনলাইন ব্যবস্থাকেই হাতিয়ার করেছে। কিন্তু সমস্যা হল, বেশ কিছু বিষয় এমন রয়েছে যার অনলাইনে পড়াশোনা ভারতে স্বীকৃত নয়।’’ ফলে অনলাইনে পড়েও আখেরে পড়ুয়াদের লাভের চেয়ে, উল্টে বছর নষ্টের আশঙ্কা করছেন কর্তৃপক্ষ। যাতে ওই সব দেশে সমস্যা তৈরি হলে সম-পাঠ্যক্রম হওয়ার সুবাদে এ দেশে বাকি পাঠ্যক্রম শেষ করার সুযোগ পান পড়ুয়ারা। এদিকে বেশি ভাগ শিক্ষার্থী শিক্ষা লোন নিয়ে পড়তে যান। ফিরে মোটা বেতনে চাকরি নিয়ে সেই লোন পরিশোধ করেন। এবার চাপ পড়ছে সেই দিকেও।