সেবার আড়ালে নারী পাচার, নার্সিংহোমের মালিককে জেলে পাঠাল সিআইডি

বারাসত: বসিরহাট জেলা হাসপাতাল মোড় এলাকার যশোদা সেবাসদন নার্সিংহোমের মালিক সমীর কুমার রায় গ্রেপ্তার। তারই নার্সিংহোমের এক মহিলা কর্মীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে। নারী পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। ওই মহিলা কর্মী নিখোঁজ মামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর বসিরহাট থানায় মামলা দায়ের করেন পরিবারের

52fe5db399d89164324866c4c5e24a35

সেবার আড়ালে নারী পাচার, নার্সিংহোমের মালিককে জেলে পাঠাল সিআইডি

বারাসত: বসিরহাট জেলা হাসপাতাল মোড় এলাকার যশোদা সেবাসদন নার্সিংহোমের মালিক সমীর কুমার রায় গ্রেপ্তার। তারই নার্সিংহোমের এক মহিলা কর্মীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে। নারী পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। ওই মহিলা কর্মী নিখোঁজ মামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর বসিরহাট থানায় মামলা দায়ের করেন পরিবারের লোকেরা।

জানা যায় যশোদা সেবাসদন নার্সিংহোমে কম পারিশ্রমিকে কাজ করানোয় অন্যত্র কাজ খুঁজছিলেন ওই মহিলা কর্মী। সে সময় অন্যত্র বেশি পারিশ্রমিকে কাজের সন্ধানও দেন ওই নার্সিংহোম মালিক ও নার্সিংহোমের আর এক মহিলা কর্মী ঝুমা। তাদের কথা মতোই ওই নার্সিংহোমের কাজ ছেড়ে বারাসতের একটি নার্সিংহোমে কাজ নেয় মেয়েটি। তারপরে সেখান থেকে ২০১৬ সালের ৬ই নভেম্বর নিখোঁজ হয়ে যায় সে। অনেক খোঁজখবর করে মেয়ের কোনও সন্ধান না মেলায় বসিরহাট থানার পুলিশের কাছে মামলা দায়ের করেন তার পরিবারের লোকেরা। তদন্তে নেমে প্রায় এক বছর পরে পুনের একটি নিষিদ্ধপল্লি থেকে ওই মেয়েটিকে উদ্ধার করে বসিরহাট থানার পুলিশ।

ঘটনার তদন্তে নেমে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বেশ কয়েকজন জামিন পেয়ে গেলেও পুনের নিষিদ্ধ পল্লির দুই মহিলা ও আরও এক পুরুষ বর্তমানে বিচারাধীন বন্দি। এই ঘটনার সঙ্গে নারীপাচার চক্রের যোগসূত্র আছে কিনা তা বের করতে গত কয়েক মাস আগেই মামলাটি তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। সিআইডি শুক্রবার রাতে নার্সিংহোমের মালিককে গ্রেপ্তার করলে শনিবার তাকে তোলা হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে। অভিযুক্ত নার্সিংহোমের মালিককে জেল হেপাজতের পাশাপাশি আগামী ১৯ মার্চ ফের আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন বিচারক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *