বাবা বন্ধ কারখানার শ্রমিক, প্রতিকূলতাকে হারিয়ে দেশে তৃতীয় মেহেলি

বাবা বন্ধ কারখানার শ্রমিক, প্রতিকূলতাকে হারিয়ে দেশে তৃতীয় মেহেলি

শ্রীরামপুর: একটি ব্যাটারি কারখানার শ্রমিক ছিলেন বাবা৷ গত এক বছর ধরে সেই কারখানার গেটে তালা পড়েছে৷ মা সাধারণ গৃহবধূ৷ অভাবের সংসার৷ কিন্তু কোনও প্রতিকূলতাই তাঁর মেধাকে রুখতে পারেনি৷ অভাবকে হারিয়ে পেলেন সাফল্যের স্বাদ৷  রবিবার প্রকাশিত হয় আইএসসি দ্বাদশের ফল৷ তাতে দেশের মধ্যে তৃতীয় শ্রীরামপুরের মেহেলি ঘোষ। আগামী দিন ডাক্তার হয়ে গরিব, প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়ানোই স্বপ্ন তাঁর।

আরও পড়ুন- পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার বাড়িই ছিল স্কুলে বেআইনি নিয়োগের আখড়া, আদালতে দাবি ED-র

ডানকুনির ভাদুয়ার বাসিন্দা অজিত ও দীপা ঘোষের একমাত্র মেয়ে মেহেলি ছোট থেকেই মেধাবী। শ্রীরামপুর হোলি হোম স্কুলের ছাত্রী। এইএসসি-তে ৯৯.২৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে গোটা দেশে তৃতীয় স্থান দখল করেছেন মেহেলি। অজিত ডানকুনির একটি ব্যাটারি কারখানার শ্রমিক ছিলেন৷ আগুন লেগে দুর্ঘটনার পর গত এক বছর ধরে সেই কারখানার দরজা বন্ধ। আপাতত কোনও রোজগার নেই তাঁর৷ স্ত্রী দীপাও গৃহবধূ। অজিত জানান, অল্প কিছু চাষের জমি আছে তাঁর৷ পাশাপাশি গুদামে মজুরি করে সংসার চলে তাঁর। আগাগোড়াই অভাব-অনটনের সংসার৷ কিন্তু, মেয়ের পড়াশোনার সঙ্গে কোনও দিনই আপস করেননি। মেয়ে সাফল্যে দারুণ খুশি ঘোষ দম্পতি। 

মেহেলির ইচ্ছা ডাক্তারি পড়া৷ তিনি বলেন, ‘‘কলকাতার কোনও সরকারি মেডিকেল কলেজে থেকে এমবিবিএস করতে চাই।’’ বই পড়ার পাশাপাশি বাগান পরিচর্যা করতে ভালবাসেন মেহেলি। একটা সময় ভালো ছবিও আঁকতেও৷ কিন্তু পড়ার চাপে পরে আর আঁকার খাতা খোলার সুযোগ হয়নি৷ মেহুলের স্বপ্ন ডাক্তার হয়ে মা বাবার দুঃখ দূর করা৷ সেই সঙ্গে গরিব, প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান মেহেলি।