কলকাতা: ২০১২ এবং ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা নিয়ে তো প্রশ্ন আছেই, এবার ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেটেও প্রশ্ন ভুল ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। দাবি করা হয়েছে, ২০২১ সালে যে প্রাথমিক টেট হয়েছিল সেখানে অন্তত ৮ টি প্রশ্ন ভুল ছিল। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এই ইস্যুতে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এই রিপোর্ট তাঁদের দিতে হবে বলে নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন- বিচারাধীন মামলার মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ হোক, দাবি মমতার
২০১২ সালের টেটে ১ টি প্রশ্ন ভুল ছিল। ২০১৪ সালে ছ’টি প্রশ্ন ভুল ছিল। এবার ২০১৭ সালের টেট নিয়ে মামলা করেছেন রাজু গাজী নামের এক পরীক্ষার্থী। তাঁর অভিযোগ, ২০২১ সালে যে প্রাথমিক টেট হয়েছিল সেখানে ৮ টি প্রশ্ন ভুল ছিল যার মধ্যে ২ টি প্রশ্ন বাংলার, ১ টি অঙ্কের, ১ টি পরিবেশ বিজ্ঞানের এবং ৪ টি চাইল্ড ডেভলমেন্ট বিষয়ে। এদিন মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তর সওয়ালের পর আদালত বাংলা এবং পরিবেশ বিজ্ঞানের প্রশ্নগুলি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এক সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে রিপোর্ট আকারে তাদের মতামত জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আসলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ যেন কোনও ক্ষেত্র থেকেই বাদ যাচ্ছে না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দমকল সব জায়গায় এই একই অভিযোগ উঠেছে। মূলত শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে সবথেকে বেশি চর্চা চলছে। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগও উঠেছে। টেট নিয়ে আগে থেকে বিস্তর অভিযোগ ছিল। এবার তাতে নতুন সংযোজন ২০১৭ সাল।