কলকাতা: চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন কেটেছে। গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল ১০ লক্ষের ওপর পড়ুয়া। কিন্তু এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬২৮ জন। কিন্তু পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এত কমে গেল কেন? স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, করোনা ভাইরাস অতিমারির জন্য এই ঘটনা। সংক্রমণ চলাকালীন বা লকডাউনের জন্য অনলাইন পঠনপাঠন হয়েছে। আর অনেক পড়ুয়া প্রস্তুতির অভাবে বা টেস্ট পরীক্ষায় সফল না হওয়ায় পরীক্ষার জন্য ফর্ম পূরণ করেনি। যদিও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু একটি ‘বিশেষ নিয়ম’-এর কথা বলছেন।
আরও পড়ুন: আক্রান্ত অল্প সময়েই বাড়ছে, অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্যে
অতিমারির জন্য এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম তা মানতে চাননি ব্রাত্য। বরং তাঁর দাবি, শিক্ষার অধিকার আইনের একটি ‘বিশেষ নিয়ম’ এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। তিনি জানান, ২০১৩ সালে বয়সের বিধিনিষেধের কারণে প্রথম শ্রেণিতে অনেক কম পড়ুয়া ভর্তি হয়েছিল। সময়ের নিয়মে তারাই এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। তাই এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কম। পরের বছর আবার এই সংখ্যা ১০ লক্ষের গণ্ডি পেরোবে বলে ধারনা করছেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রীর ব্যাখ্যা, ২০১৩-’১৪ বর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সসীমা ন্যূনতম ৬ বছর করা হয়েছিল। তাই সে বছর প্রথম শ্রেণিতে ভর্তিই অনেক কম হয়েছিল। সেই বছর যারা ভর্তি হয়েছিল তারাই এই বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”দাঁতালের আক্রমণে মৃত্যু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর! Madhyamik candidate dies in elephant attack” width=”853″>
যদিও এই বিষয়ে অন্য একটি দাবিও করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, পাড়ায় পাড়ায় ব্যাঙের ছাতার মতো ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গজিয়ে উঠেছে। সেই স্কুলগুলির পড়াশোনার মান যাচাই না করেই বহু সময় অভিভাবকরা সেখানে ভর্তি করিয়ে দিচ্ছেন ছেলেমেয়েদের। স্বাভাবিকভাবেই তাই মাধ্যমিকে পড়ুয়ার সংখ্যা কমছে।