কলকাতা: পাল্টাচ্ছে পড়াশোনার ধরন৷ এবার থেকে খেলার ছলেই হবে পড়া৷ প্রাক-প্রাথমিকের শিশুদের জন্য তেমনই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এক জন্য প্রয়োজন বিশেষ বিশেষ খেলনা, গল্পের বই, পাজ্ল ইত্যাদির। এই পদ্ধতিতে শিক্ষার ভিত গাঁথতে হলে প্রতিটি প্রাথমিক স্কুলকেই এইসব সামগ্রী কিনতে হবে। তার জন্য জেলাভিত্তিক টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। সব মিলিয়ে এই খাতে প্রায় ১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশন। স্কুলগুলিকে কী কী সরঞ্জাম কিনতে হবে, তার তালিকা তৈরি করেও জেলাগুলিকে পাঠানো হয়েছে।
বইয়ের পাতা চোখ না রেখে কীভাবে বিকল্প পদ্ধতিতে বুনিয়াদি শিক্ষার ব্যবস্থা করা যায়, সেই লক্ষ্যেই প্রাক-প্রাথমিকে নয়া কৌশল নেওয়া হয়েছে। অক্ষর কিংবা বর্ণ চেনানোর জন্য স্কুলে রাখা হবে ব্লক, কার্ড ইত্যাদি। এর পাশাপাশি বাচ্চারা যেসব খেলনা দিয়ে বাড়িতে খেলে, যেমন কিচেন সেট, ডক্টর সেট এই সবও কিনতে হবে স্কুলগুলিকে। স্কুলে রাখতে হবে প্লাস্টিকের ফল, সব্জি, রং পেন্সিল, খাতা প্রভৃতি। এতে বাচ্চাদের যেমন মনোযোগ তৈরি হবে, তেমনই স্কুলের প্রতিও আকর্ষণ বাড়বে৷ সাধারণত বেসরকারি স্কুলগুলিতে এই ভাবেই খুদে পড়ুয়াদের শেখানো হয়। কিন্তু সরকারি স্কুলে সেই ব্যবস্থা এতদিন ছিল না৷ শিক্ষকদের মতে, প্রাক-প্রাথমিকে বাচ্চাদের স্কুলের সময় খুবই কম৷ যেটুকু সময় তারা স্কুলে থাকে, তার মধ্যে সারাক্ষণ বই খুলে পড়ানো কঠিন কাজ। বইয়ের বদলে খেলনার মাধ্যমে তাদের শেখানো হলে, সেটা অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে৷ এতে আগ্রহও বাড়বে৷
পশ্চিমবঙ্গে ৪৮ হাজার ৪১৭টি প্রাক-প্রাথমিক স্কুল রয়েছে৷ সমগ্র শিক্ষা মিশন জানিয়েছে, এসব সামগ্রী কেনার জন্য প্রতিটি স্কুলকে ৩৯০০ টাকা করে দেওয়া হবে। যাতে ক্লাসে এসব জিনিস নিয়মিত ব্যবহার করা হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিতে হবে স্কুলগুলিকেই।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>