বাংলার উন্নয়ন চালু রাখতে রাজ্যকে বড় ছাড় কমিশনের

কলকাতা: সমব্যাথী প্রকল্পের জন্য ছাড় পেয়ে গেল রাজ্য। দেশের সর্বত্র এখন মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট চলছে। এই অবস্থায় সমব্যথী প্রকল্প চালানো যাবে কি না তা জানতে চেয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। আজ নির্বাচন কমিশন এই প্রকল্পে নির্বাচনী বিধির আওতার বাইরে রাখার সম্মতি দিল। ফলে এখন এই প্রকল্প চালাতে আর কোন বাধা

b6a46fc115819429dc62337b0e9089cd

বাংলার উন্নয়ন চালু রাখতে রাজ্যকে বড় ছাড় কমিশনের

কলকাতা: সমব্যাথী প্রকল্পের জন্য ছাড় পেয়ে গেল রাজ্য। দেশের সর্বত্র এখন মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট চলছে। এই অবস্থায় সমব্যথী প্রকল্প চালানো যাবে কি না তা জানতে চেয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। আজ নির্বাচন কমিশন এই প্রকল্পে নির্বাচনী বিধির আওতার বাইরে রাখার সম্মতি দিল। ফলে এখন এই প্রকল্প চালাতে আর কোন বাধা রইল না।

ভোটের গেরোয় থমকে বাংলার উন্নয়ন প্রক্রিয়া৷ বন্ধ রূপশ্রী ও সমব্যথীর মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প৷ ভোটের দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ায় সমব্যথী প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই দু’টি প্রকল্প চালু রাখার দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্ত হয় চলছে রাজ্য সরকার৷ নবান্ন থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা কমিশনে বিষয়টি জানাব৷ কারণ, এই প্রকল্পগুলি আনেক আগের৷ নির্বাচন ঘোষণার আগে থেকেই এই প্রকল্পগুলি চালু করা হয়েছে৷ কিন্তু, নির্বাচনের জন্য প্রকল্পগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ আমরা কমিশনে বিষয়টি তুলব৷ যাতে বন্ধ প্রকল্পগুলি চালানো যায়৷’’ রাজ্যের এই আবাদেনর ভিত্তিতেই এই ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে খবর৷

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সে মেয়েদের বিয়ের সময় রাজ্য সরকার এককালীন ২৫ হাজার টাকা সাহায্য করে। এই প্রকল্পের জন্য বিয়ের প্রমাণপত্র ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির প্রশংসাপত্র প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই প্রকল্পের জন্য পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রচুর আবেদন জমা পড়লেও নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশিকা না আসার কারণে চেক দেওয়া যাচ্ছে না। আবার কেউ মারা গেলে সৎকারের জন্য রাজ্য সরকার দু’ হাজার টাকা এককালীন টাকা দেয়। এই প্রকল্পটি সমব্যথী। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত বা পুরসভার পক্ষ থেকেই এটি সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া হয়। কিন্তু এই প্রকল্পেও টাকা দিলে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন হবে কি না, তা নিয়ে কোনও সুস্পষ্ট নির্দেশ না থাকায় সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *