কলকাতা: কেন্দ্রীয় বাহিনীর অতিসক্রিয়তার অভিযোগে মঙ্গলবার রিপোর্ট চাওয়ার পর এদিন বিএসএফের আইজিকে ডেকে পাঠাল নির্বাচন কমিশন৷ বুধবার কমিশনের দপ্তরে ওই বৈঠকে হাজির হন এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত ও এডিজি (সশস্ত্র বাহিনী) রণবীর কুমার৷
কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘অতি সক্রিয়তা’র অভিযোগ আসায় তদন্তের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রোটোকল ভেঙে বাড়ি বাড়ি হুমকি দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে উত্তর কলকাতার জেলা নির্বাচনী আধিকারিক দিব্যেন্দু সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কমিশন। সেইসঙ্গে ভিডিও ফুটেজও জমা দিতে বলা হয়েছে। তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসারকে সতর্ক করা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে, উল্টোডাঙা সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় রুট মার্চ করার নামে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। এমন আচরণ তারা করতে পারে না। রুট মার্চ করার সময় স্থানীয় পুলিস অফিসার বা ম্যাজিস্ট্রেটকে থাকতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর অতি সক্রিয়তার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে উদ্যোগী হয়েছে কমিশন। কমিশন বলেছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রোটোকল ভেঙেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি সত্যি তারা প্রোটোকল ভেঙে থাকে, তাহলে সতর্ক করা হবে।
এদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মন্তব্য করায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সিপিএম নেতা রবীন দেব৷ আজ, একই অভিযোগ তোলে বিজেপি৷ সেই অভিযোগ নিয়ে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ পুরমন্ত্রী যা বলেছেন, তাতে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে কমিশন। একইভাবে বিজেপি’র এক নেতার মন্তব্য খতিয়ে দেখছে কমিশন। নেতাদের এইসব মন্তব্য আদর্শ আচরণবিধি ভাঙছে কি না, বিচার করছে নির্বাচন কমিশন৷