কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ প্রকাশের পর নাগরিকের হাতে আরও শক্তি করতে নতুন অ্যাপ লঞ্চ করে কমিশন৷ cVIGIL নামে এই অ্যাপ ব্যবহার করে যে কোন নাগরিক দেশের যে কোন জায়গায় নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ জানাতে পারবেন। সব অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছে কমিশন। অভিযোগ জমা পরার ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ কিন্তু, কোথায় কী? কমিশনের তরফে জনতা অভিযোগ জানানো জন্য আর্জি জানানো হলেও কেন শোনে কার কথা৷
কমিশন সূত্রে খবর, অ্যাপ চালু হওয়ার পর অভিযোগ খুব একটা না এলেও দিনে দিনে নির্বাচন কমিশনের অ্যাপ ভরছে জনসাধারণের সেলফিতে৷ জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত অধিকাংশ ছবিই এসেছে জনতার সেলফি৷ এসেছে বেশ কিছু হাস্যকর মন্তব্য প্রশ্ন৷ একদিকে সেফলির ও অন্যদিকে হাস্যকর মন্তব্যে জেরবার কর্মিশনের কর্তারা৷ তবে, কমিশনকে বিভ্রান্তিতে ফেলতে যাঁরা এই ধরনেক কাজ করছেন, তাতের সতর্কও করা হচ্ছে৷ তার পরও যদি কাজ না হয়, প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও খবর৷
জনসাধারণ যা পাঠাচ্ছে ওই অ্যাপে, তা কহতব্য নয়। কেউ পাঠিয়েছেন সেলফি, কেউ বা নৈসর্গের ছবি, আবার কেউ বা নাচ-গান বা মজাদার ভিডিয়ো৷ সবকিছুর মধ্যে কেবল অভিযোগটাই নেই৷ পঞ্জাব নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিকের কথায়, অ্যাপে যতগুলি অভিযোগ তারা পেয়েছেন তার ৬০ শতাংশের সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই৷ কেবলমাত্র ৮৫টি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে, যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে কমিশন।
নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর “cVIGIL অ্যাপ ব্যবহার করে Android গ্রাহকরা যে কোন নির্বাভনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ জানাতে পারবেন। যে কোন ধরনের বিধি ভঙ্গের ঘটনা চোখে পরলে এবার থেকে আর অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানাতে হবে না।” জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন প্রধান সুনিল অরোরা।
খুব সহজেই cVIGIL নামের এই অ্যানড্রয়েড অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে। নাগরিককে অভিযোগের একটি ছবি অথবা ভিডিও রেকর্ড করে তা এই অ্যাপ এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে। চাইলে নিজের পরিচয় গোপন রেখে অভিযোগ জানানো যাবে৷ প্রত্যেক জেলায় কন্ট্রোল রুমে একটি ফ্লাইং টিম রাখছে কমিশন। এই দল cVIGIL অ্যাপ এর সব অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখবে। প্রার্থীকে চেনা সহজ করতে নামের সাথেই ব্যালট ও ইভিএম এ প্রার্থীর ছবি ছাপাবে কমিশন। একই নামে একাধিক প্রার্থী থাকলে এই ছবি প্রার্থী কাজে লাগবে৷