আজ বিকেল: তাঁর হাতে ক্ষমতা এলে দেশের সমস্ত মদের দোকান বন্ধ করে দিনে, শুধু এখানেই শে, নয়, দেশের কোনও প্রান্তেই মদ উৎপন্ন হত না। সেই তিনিই মৃত্যুর ৭৩ বছর পর বিয়ারের বোতলের স্টিকার হলেন। হ্যাঁ ঠিক এমন ঘটনাই ঘটেছে।
জাতির জনক মহত্মা গান্ধীকে দেখা গিয়েছে বিয়ারের বোতলের গায়ে। শুধু দেখাই নয়, ভিরমি খাওয়া উরি পাওনার মতো। কেননা, গান্ধীজির গায়ে টিশার্ট, ওভার কোট, চোখে সানগ্লাস। ভাববেন না মশকরা করছি, এমন গর্হিত কার্যটি ঘটিয়েছি ইজরায়েলি বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা মকা ব্রিউয়ারি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু-কে চিঠি দিয়ে এই ঘটনার সুবিচার চেয়েছেন মহত্মা গান্ধী ন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবি জে যশ। তিনি জানান, এটা খুবই গর্হিত একটা কাজ করা হয়েছে। এর কোনও মানে নেই। এই বিজ্ঞাপনের ডিজাইন যিনি করেছেন, তাঁর নাম অমিত শিমোনি।
এই অন্যায়ের যথাযোগ্য ব্যবস্থা যাতে নেওয়া হয় সেই দাবিও করে বলেছেন, গান্ধীজিকে যেভাবে দেখানো হয়েছে, তা খুবই লজ্জাজনক। তাঁর মতো একজন ব্যক্তিত্বকে নিয়ে কার্যত ঠাট্টা করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। এই তামাশা অর্থহীন এবং শাস্তিযোগ্য বলছেন তিনি। বিশ্বের দরবারে মহাত্মা একজন মণিষী। সেই বরণীয় ব্যক্তিত্বকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছে মকা ব্রিউয়ারি, এটি কখনওই কাম্য হতে পারে না।
সারা জীবন যে মানুষটি এক টুকরো কাপড় পরে খালি গায়ে কাটিয়ে দিলেন। নিরাসক্ত জীবন দর্শন যাঁর মূল লক্ষ্য ছিল, সেই তিনিই কি না বিয়ারে বোতলের বিজ্ঞাপনী মুখ। এতো শুধু জাতির জনককে অপমান নয়, গোটা ভারতবর্ষকে অপমান। এই অপমানের সুবিচার চাইছেন কেরালার কোট্টায়ামের মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবি জে যশ। দুই দেশের প্রধামন্ত্রীকেই চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার কে কীভাবে কেমন ব্যবস্থা নেন।