মোদি যখন চৌকিদার, বেকার তখন নিরাপত্তাকর্মীরা

আজ বিকেল: প্রধানমন্ত্রী যখন চা ওয়ালার বেশভূষা বদলে চৌকিদার সাজলেন, তখন দেশের চৌকিদারদের আর চাকরি নেই। হ্যাঁ ভোটের বাজারে শুনতে অস্বস্তি হলেও এটাই বাস্তব চিত্র। নিরাপত্তাকর্মীরাদিনের পর দিন বেকার হচ্ছেন। আর জিএসটি চালুর পরে এই হার হু হু করে বাড়ছে। চাকরি খোয়ানোর তালিকায় একেবারে প্রথম সারিতে রয়েছেন ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিযুক্ত কর্মীরা। কেননা, ব্য়াংকে যে সংস্থা

মোদি যখন চৌকিদার, বেকার তখন নিরাপত্তাকর্মীরা

আজ বিকেল: প্রধানমন্ত্রী যখন চা ওয়ালার বেশভূষা বদলে চৌকিদার সাজলেন, তখন দেশের চৌকিদারদের  আর চাকরি নেই। হ্যাঁ ভোটের বাজারে শুনতে অস্বস্তি হলেও এটাই বাস্তব চিত্র। নিরাপত্তাকর্মীরাদিনের পর দিন বেকার হচ্ছেন। আর জিএসটি চালুর পরে এই হার হু হু করে বাড়ছে। চাকরি খোয়ানোর তালিকায় একেবারে প্রথম সারিতে রয়েছেন ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিযুক্ত কর্মীরা। কেননা, ব্য়াংকে যে সংস্থা নিরাপত্তা রক্ষী সরবরাহ করে, তাদের ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে জিএসটির এই হার যথেষ্ট মাত্রাহীন। তাই অনেকেই সংস্থাই হাত গুটিয়ে নিচ্ছে। যারফলে কোনওরকম অপরাধ না করেই দলে দলে বেকার হয়ে পড়ছেন ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মীরা।ইতিমধ্যে জল দেশের শীর্ষ আদালত পর্যন্ত গড়ালেও সমাধানসূত্রের দেখা মেলেনি।

একইভাবে রিজার্ভ ব্যাংকও নিরাপত্তা রক্ষীর সংস্থাগুলির উপরে নয়া নিদান চাপিয়েছে। তাও আড়ে বহরে কোনওভাবেই কম নয়, ব্যাংকের জন্য নিরাপত্তা রক্ষী সরবরাহ করতে হলে অবশ্যই সংস্থার মূলধন ১০০ কোটি হতে হবে। একই সঙ্গে নগদ নিয়ে যাওয়ার৩০০ কোটি টাকা বহনের ক্ষমতা থাকতে হবে।

এদিকে এই নিদানে আর ভরসা না রাখতে পেরে সংস্থা গুলি ব্যবসা গুটিয়েছে, কার্যতই বেকার হয়ে পড়েছেন কয়েক লক্ষ নিরাপত্তা রক্ষী। এখন শপিংমলে কাজ করে কোনওরকম সংসার চালিয়ে নিচ্ছেন। এদিকে ভোটের বাজারে মোদি হয়েছেন চৌকিদার, তিনি টুইট করে ভাষণ দিয়ে নিজের নয়া পদের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, আর কর্মহীন মানুষগুলির পরিবারের লোকজন সেই প্রচারকে বিদ্রুপ হিসেবেই দেখছেন। বিজেপির ছোট থেকে বড় নেতা সবাই এখন চৌকিদার, আর প্রকৃত নিরাপত্তা রক্ষীরা তাঁদের সৌজন্যে কখনও শুনছেন ম্যায় ভি চৌকিদার হু, বা চৌকিদার চোর হ্যায়। এসব শুনে কাকে যে বিশ্বাস করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না, তবে একজনের চৌকিদারিত্বে যে তাঁদের রুটি রুজির বিসজর্ন হয়েছে তা ভালই অনুমান করতে পারছেন।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 3 =