সুখের ঠিকানায় চললাম, স্লেটে লিখে আত্মঘাতী দম্পতি, ঘরে কোণে ফুঁপিয়ে কান্না শিশুর

বারাকপুর: পাখা থেকে ঝুলছে বাবার মৃতদেহ। মায়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে মেঝেয়। আর ঘরের কোণে চুপ করে বসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যা। শুক্রবার খড়দহ থানার আগরপাড়া স্টেশন সংলগ্ন পীরতলা এলাকায় এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকলেন এলাকার বাসিন্দারা। সকালে গৃহশিক্ষিকা ওই সাড়ে তিন বছরের শিশুকে পড়াতে আসায় ঘটনাটি সামনে আসে। তবে, কী কারণে এই

সুখের ঠিকানায় চললাম, স্লেটে লিখে আত্মঘাতী দম্পতি, ঘরে কোণে ফুঁপিয়ে কান্না শিশুর

বারাকপুর: পাখা থেকে ঝুলছে বাবার মৃতদেহ। মায়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে মেঝেয়। আর ঘরের কোণে চুপ করে বসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যা। শুক্রবার খড়দহ থানার আগরপাড়া স্টেশন সংলগ্ন পীরতলা এলাকায় এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকলেন এলাকার বাসিন্দারা।

সকালে গৃহশিক্ষিকা ওই সাড়ে তিন বছরের শিশুকে পড়াতে আসায় ঘটনাটি সামনে আসে। তবে, কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা সঠিক জানা যায়নি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। তবে, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য মৃতদেহ দু’টি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত স্বামীর নাম অমল মণ্ডল (৩৫)। তাঁর বাড়ি নদীয়া জেলায়। স্ত্রীর নাম বিন্দা ভগৎ মণ্ডল (২৮)। তাঁর বাপেরবাড়ি ঘোলা থানার কর্ণমাধবপুর এলাকায়। সাড়ে তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে মাস পাঁচেক আগে আগরপাড়া স্টেশন সংলগ্ন পীরতলা এলাকায় এক ব্যক্তির একতলায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন অমল ও বিন্দা। অমল বাড়ির মালিককে জানিয়েছিলেন, তিনি ঠিকাদারের কাজ করেন। দিন দশেক আগে ওই শিশুকন্যাকে পড়ানোর জন্য তাঁরা স্থানীয় এক গৃহশিক্ষিকাকে ঠিক করেছিলেন। এদিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ওই গৃহশিক্ষিকা তাঁদের বাড়িতে এসে দেখেন, দরজার বাইরে ভাঙা শাঁখা পড়ে আছে। তখন তাঁর সন্দেহ হয়। তারপর তিনি অমলবাবুদের ডাকতে থাকেন। কিন্তু, কেউ দরজা খোলেনি। কিছুক্ষণ পর ওই শিশুকন্যা ভিতর থেকে কাঁদতে কাঁদতে বলে, দিদি আমাকে নিয়ে চল। একটি সুইসাইড নোট লেখা ছিল, আমি বিন্দাকে নিয়ে সুখের ঠিকানায় চললাম। বাচ্চাটা রইল। তোমরা দেখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + 9 =