কলকাতা: বাংলা সন, তারিখ মনে থাকলেও, পয়লা বৈশাখ বাঙালীর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ১৪২৬-এর প্রথম সূর্যদয়কে সাক্ষী রেখে শুভকামনার আদান-প্রদান। সঙ্গে পুজো। আর থাকে হালখাতা। ব্যবসায়ীরা হালখাতার মাধ্যমে বাংলা বছরই শুধু নয়, শুরু করেন নতুন বছরের হিসেবের খাতাও৷
লাভ-ক্ষতির হিসেবে লাভের পাল্লা ভারীর আশায় মন্দিরে, মন্দিরে চলে পুজো। হাতে পুজোর ডালি আর খেরোর খাতা। কারও ঝুড়িতে লক্ষ্মী-গণেশ৷ সিঁদুরে স্বস্তিকা চিহ্ন দিয়ে নতুন বছরের হিসেব শুরু করেন ব্যবসায়ীরা৷ লম্বা লাইন কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর সহ রাজ্যের বিভিন্ন মন্দিরে।
রবিবার মধ্য রাত থেকেই মন্দিরে ভিড়৷ লম্বা লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও সকালে পুজো দিয়ে নতুন বছরের প্রথম দিনটি শুরু করেন অনেকেই৷ গঙ্গাস্নানের পরে নতুন জামায় শুরু বাঙালীর নববর্ষ৷ আর আছে পেটপুজোর ঘটা। বাড়িতেই শুধু নয়, বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁতেও আয়োজন করা হয়েছে বাঙালীর পঞ্চব্যাঞ্জনের। নতুন পঞ্জিকা বা বাংলা ক্যালেন্ডারের জনপ্রিয়তা কমে গেলে, ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় সোশাল মিডিয়া নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানোর চল বেড়েছে বহুগুণ। সব মিলিয়ে জমজমাট বাঙালীর পয়লা বৈশাখ।