মর্মান্তিক! সার্কাসের রিং মাস্টারকে মেরে ডিগবাজি খেল বাঘের দল

আজ বিকেল: সার্কাসে মাহুত ভিন্ন কোনও কথা হয় না। হাতি তার কথাতেই খেলা দেখায় নড়ে বসে। আর যদি সেই হাতি মাহুতকেই আক্রমণ করে বসে, তখন কী আর ভালমন্দ বুঝে ওঠা যায়? এমন ঘটনাই ঘটেছে ইতালিতে, তবে হাতির জায়গায় বাঘ ঘটিয়েছে ভয়াবহ ঘটনা। দীর্ঘদিনের ট্রেনারকেই তারা ছিঁড়ে খেয়েছে। মৃত ট্রেনার হলেন বছর ৬১-র এত্তোর ওয়েবের। দীর্ঘদিন

মর্মান্তিক! সার্কাসের রিং মাস্টারকে মেরে ডিগবাজি খেল বাঘের দল

আজ বিকেল: সার্কাসে মাহুত ভিন্ন কোনও কথা হয় না। হাতি তার কথাতেই খেলা দেখায় নড়ে বসে। আর যদি সেই হাতি মাহুতকেই আক্রমণ করে বসে, তখন কী আর ভালমন্দ বুঝে ওঠা যায়? এমন ঘটনাই ঘটেছে ইতালিতে, তবে হাতির জায়গায় বাঘ ঘটিয়েছে ভয়াবহ ঘটনা। দীর্ঘদিনের ট্রেনারকেই তারা ছিঁড়ে খেয়েছে। মৃত ট্রেনার হলেন বছর ৬১-র এত্তোর ওয়েবের। দীর্ঘদিন ধরেই ইতালির ওরফেই সার্কাসে বাঘেদের ট্রেনার হিসেবে কাজ করছেন তিনি।

এমনিতেই সার্কাসের জন্তু জানোয়াররা খুব বেশি স্বচ্ছন্দে কাটাতে না পারায় বেশ হিংস্র হয়। সুযোগ পেলে যত্ন আত্তি করা ট্রেনারদেরও আক্রমণ করে। এর আগেও বেশ কয়েকবার বাঘেদের হাতে আক্রান্ত হলেও সেসব চোটকে পাত্তা দেননি এত্তোর। এবার কিন্তু পাত্তা দেওয়ার অবকাশও মিলল না। তাঁকে মেরে ফেলার পর দেহটা নিয়ে চারটি বাঘা অনেকটা সময় ধরে শুধু টানাটানি করে গেল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় হতবাক সার্কাসের কর্মী থেকে দর্শক সকলেই। শেষে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন ওই ট্রেনার, যার জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ওরফেই সার্কাসের শো রয়েছে। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা এমন সার্কাস কোম্পানির কাছে এই ঘটনা মৃত্যুর থেকে ভয়ঙ্কর। একটি সার্কাস কোম্পানিতে বহু কর্মচারী থাকেন। এক ধাক্কায় এতজনের রুটিরুজি প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে গেল। এত্তোর চাড়া আদৌ সার্কাস সম্ভব কি না তা নিয়ে মুখ খোলেনি কর্তৃপক্ষ। তবে এখনই যে শো হবে না তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ভবিষ্যতের প্রসঙ্গটিও বিশবাঁও জলে। ভারতেও যে এমনটা ঘটেনি তা নয়। দেশের প্রায় ২১টি সার্কাস কোম্পানি আর বন্যপ্রাণীদের নিয়ে খেলা দেখাতে পারে না, কেননা সরকারি অনুমতি নেই। মূলত এক্ষেত্রেও বন্য পশুর আক্রমণে ট্রেনারদের ভয়ঙ্কর পরিণতি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × one =