ফের দল বেধে সংখ্যালঘু মহিলাকে ধর্ষণ ধূপগুড়িতে

আদিবাসী মহিলার পর ফের এক সংখ্যালঘু মহিলা দলবদ্ধ ধর্ষণ ধূপগুড়িতে। ধর্ষণের ঘটনায় ফের খবরের শিরোনামে ধূপগুড়ি। সাত মাসের ব্যবধানে ফের এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে নদীর ধারে ফেলে রেখে পালিয়ে গেল দুস্কৃতীরা। বামনি নদীর ধার থেকে বুধবার উদ্ধার করা হলো রক্তাক্ত অচৈতন্য মহিলার দেহ। পয়লা মে সকালে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের ঠিক পেছনে ধূপগুড়ির শিশু উদ্যানের

800ceef8695abe9dcc5ae9a7163db97e

ফের দল বেধে সংখ্যালঘু মহিলাকে ধর্ষণ ধূপগুড়িতে

আদিবাসী মহিলার পর ফের এক সংখ্যালঘু মহিলা দলবদ্ধ ধর্ষণ ধূপগুড়িতে। ধর্ষণের ঘটনায় ফের খবরের শিরোনামে ধূপগুড়ি। সাত মাসের ব্যবধানে ফের এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে নদীর ধারে ফেলে রেখে পালিয়ে গেল দুস্কৃতীরা। বামনি নদীর ধার থেকে বুধবার উদ্ধার করা হলো রক্তাক্ত অচৈতন্য মহিলার দেহ। পয়লা মে সকালে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের ঠিক পেছনে ধূপগুড়ির শিশু উদ্যানের কাছে নদীর চরে এক মহিলার দেহ জল কাদায় দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় মানুষ এক টোটো চালকের সহযোগিতা নিয়ে মহিলাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। উদ্ধারকারীরা জানান নির্যাতিতা মহিলার সারা শরীর ক্ষত বিক্ষত ছিল আঁচড়ের দাগ। প্রায় বিবস্ত্র রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল বামনি নদীর ধারে। নির্যাতিতার বয়স আনুমানিক ২২ বছর। খবর পেয়ে নির্যাতিতার বাবা মা ছুটে আসেন হাসপাতালে। পুলিশ কে খবর দেওয়া হলে পুলিশও আসে। এই ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র হাসপাতালে ছুটে যান ধূপগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক মমতা রায় প্রতিবাদী নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক অলোক চক্রবর্তী সিপিআই (এম)’র সদর এরিয়া কমিটির সদস্য জয়ন্ত মজুমদার এবং নুর আলম। নির্যাতিতার বাবা ও মা কাঁদতে কাঁদতে জানান মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সারা দিন এবং রাতে তাকে খুঁজে পাইনি সকালে গ্রামের মানুষের কাছে খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে দেখি মেয়ের এই অবস্থা। মা বাবা দুজনেই বলেন আমরা অত্যন্ত দরিদ্র, দিন মজুরি করি। মেয়ের দুটি পুত্র সন্তান আছে তাদের নিয়েই আমাদের কাছে থাকে। স্বামী কাজের জন্য অন্যত্র চলে যায়। ঠিক মত খাবারের জোগাড় করতে না পারায় মেয়েটার কিছুটা মানসিক যন্ত্রণা ছিল। কখন কোনদিকে চলে যায় বুঝি না। তারা দুজনেই বলেন, জ্ঞান ফেরার পর মেয়ের কাছ থেকে যে টুকু জেনেছি তা হলো চার পাচজন দুস্কৃতীরা ওকে তুলে নিয়ে সারা রাত ধর্ষণ করে শেষে নদীর ধারে জল কাদায় ফেলে রেখে যায়। বিধায়ক মমতা রায় বলেন, মেয়েটির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কট জনক থাকায় কথা বলার শক্তি নেই। তবুও যেটুকু জানিয়েছে তাতে বোঝা যায় বেশ কয়েকজন ওর উপর নির্যাতন চালিয়েছে। মমতা রায় সহ নাগরিক মঞ্চের নেতা পার্টির নেতারা হাসপাতালে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকের কাছে দাবি জানান দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। মহিলা নেত্রী সহ নাগরিক মঞ্চ এবং পার্টি নেতৃত্বরা নির্যাতিতা মহিলাকে দ্রুত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তদারকি করেন। হাসপাতালের চিকিৎসক দেবদাস মণ্ডল বলেন মহিলার শরীরে অনেক আঘাত আঁচরের চিহ্ন রয়েছে এবং গোপনাঙ্গে আঘাত লাগার ফলে রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। মহিলার অবস্থা সঙ্কট জনক থাকায় তাকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনা নিয়ে বুধবার বিকালে জেলা পুলিশ কর্তা জলপাইগুড়িতে সাংবাদিকদের জানান মহিলার শারিরীক পরীক্ষার পর হাসপাতালের চিকিৎসকরা নাকি জানিয়েছেন ধর্ষণের ঘটনা হয়নি। এই খবরে মহিলার মা বাবা এবং মহিলা সমিতির নেতৃত্ব সহ সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *