ফনির নামে গরমের ছুটি গড়াল ২ মাস, প্রতিবাদে সরব রাজ্যের শিক্ষকরা

আজ বিকেল: সুপার সাইক্লোন ফনির সতকর্তা হিসেবে স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য। এর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে গরমের ছুটিও। সবমিলিয়ে ছুটির সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে দুমাসে। আগামী কাল ৩ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এই ছুটির খবরে গোটা রাজ্যজুড়েই শোরগোল পড়েছে। আগে গরমের জন্য বিভিন্ন সময় সরকারি স্কুলের ছুটি নির্ধারিত দিনে শেষ না হয়ে আরও বেড়ে যেত।

0cd3f7b0cf06c17b71c38b8a7872e4f1

ফনির নামে গরমের ছুটি গড়াল ২ মাস, প্রতিবাদে সরব রাজ্যের শিক্ষকরা

আজ বিকেল: সুপার সাইক্লোন ফনির সতকর্তা হিসেবে স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য। এর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে গরমের ছুটিও। সবমিলিয়ে ছুটির সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে দুমাসে। আগামী কাল ৩ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এই ছুটির খবরে গোটা রাজ্যজুড়েই শোরগোল পড়েছে। আগে গরমের জন্য বিভিন্ন সময় সরকারি স্কুলের ছুটি নির্ধারিত দিনে শেষ না হয়ে আরও বেড়ে যেত। কিন্তু দুমাস ছুটির খবর আগে কেউ শোনেনি। চারদিকে চাপা অসন্তোষ দানা বাঁধালেও প্রকাশ্যে সরব হয়েছে বেশকিছু শিক্ষক সংগঠন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফণীর জন্য ‘স্কুল ছুটি’র নবান্নের নির্দেশিকা নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল চূড়ান্ত ধোঁয়াশা। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল ক্লাস সাসপেন্ডেড। স্কুল ছুটিতে শিক্ষকরা কী করবেন, ধোঁয়াশা কাটাতে পারেনি নবান্ন৷

এই প্রসঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষকও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র এক বিবৃতিতে বলেন, আজকে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর যেভাবে ফনি ঝড়ের নাম করে ও গরমের দোহাই দিয়ে  ৩মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত পঠনপাঠন বন্ধ করার যে নির্দেশ দিলেন তা এককথায় অত্যন্ত অযৌক্তিক। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মনে করি সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলি এইভাবে প্রতিবছর বন্ধ রেখে দিয়ে পশ্চিম বাংলার সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হচ্ছে। একদিকে প্রাইভেট বিদ্যালয়গুলি স্কুল চালু রাখবে, অপরদিকে সরকারি বিদ্যালয় গুলোতে পঠন-পাঠন বন্ধ থাকবে যার ফলে অভিভাবকদের মধ্যে একটা ধারণা জন্মাবে যে সরকারি বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পরিবেশ থাকছে না। আগামী দিনে সরকারি বিদ্যালয় স্বাভাবিকভাবেই ছাত্র-ছাত্রী আসা কমবে। সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি আপনি অবিলম্বে এই ধরনের আত্মঘাতী সার্কুলার প্রত্যাহার করুন এবং অবিলম্বে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করুন তা না হলে পশ্চিমবাংলার শিক্ষক সমাজ এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।

এবিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষকও শিক্ষাকর্মী সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার বলেন, ‘‘বিশেষ পরিস্থিতিতে শিক্ষা দপ্তর অবশ্যই অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করতে পারে। কিন্তু ঝড় ও গরমের জন্য দু’মাস ছুটি ঘোষণা করা একটা হাস্যকর সিদ্ধান্ত। শেষ কয়েক বছর অতিরিক্ত ছুটি নিয়ে একটার পর একটা বিতর্কিত অর্ডারের জন্য বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *