কলকাতা : মারাত্মক রূপ ধরে ধেয়ে আসছে ফনি। অন্তত এমনটাই সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। আপাতত কলকাতা থেকেব প্রায় ৫০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়। ৩ তারিখ মধ্যরাত থেকে ৪ তারিখ ভোরে রাজ্যে ঢুকছে ফনি। গতিবেগ থাকবে ১০০-১১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
কলকাতা ও তার আশপাশের অঞ্চলে গতি হবে ৮০-৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এর জেরে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, দুই মেদিনীপুর, দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া ও হুগলিতে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে ৪ তারিখ রাতে ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের দিকে ঘুরে যাবে। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে শুক্রবার থেকেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি ও ঝড় শুরু হয়ে যাবে। ফনি মোকাবিলায় সতর্ক সরকার।জীবনহানি এড়াতে তৈরি হয়েছে মনিটরিং সেল। মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
পর্যটকদের সতর্ক করতে দিঘা উপকূলে মাইকিং করছে দিঘা পুলিস। সতর্কতার মধ্যেই বিপত্তি। পুলিস ও নুলিয়াদের নজর এড়িয়ে সমুদ্রে স্নান করতে নামেন এক মহিলা। নুলিয়াদের তৎপরতায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। সতর্কতা জারি করা হয়েছে মন্দারমণি, বকখালি, সাগরদিঘিতে। ফনির প্রভাবে শনিবার উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জায়গায় অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
আয়লার থেকেও এর প্রভাব ভয়ঙ্কর হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ওড়িশা, অন্ধ্র ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী বেশ কয়েকটি জেলায় আঘাত হানতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। পুরী থেকে ক্রমশ উত্তর দিকে এগোচ্ছে। সে কোনও মুহূর্তে তা আছড়ে পরতে পারে। ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ২০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি। প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই পর্যটকদের পুরী ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে তৈরি রয়েছে নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনী। প্রস্তুত বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। তবে, স্থলভাগের উপর দিয়ে এরাজ্যে প্রবেশের সময় ফনির তীব্রতা কিছুটা কমবে বলে মনে করছে হাওয়া অফিস।