কলকাতা: ক্ষিপ্রতায় ২০০৯ সালে রাজ্যে আছড়ে পড়া আইলার কাছাকাছি হলেও আসন্ন ফনি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কিংবা প্রাণহানি সেই ভয়াবহতায় পৌঁছবে না। এমনটাই ধারণা রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের।
আইলার প্রভাবে রাজ্যজুড়ে সেচ দপ্তরের অধিকাংশ নদীবাঁধ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ফলে জলস্ফীতি ঘটায় বসত জমিতে জল ঢুকে হাজার হাজার মানুষ কার্যত গৃহহীন হয়ে পড়েছিলেন। কেন ফনি তুলনামূলকভাবে আইলার চেয়ে কম ক্ষতিকারক? জবাবে নবান্নের এক কর্তা জানান, প্রকৃতির নিয়ম মেনে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রবিন্দু বা উৎসস্থল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে শুরু হয়ে সমুদ্র বরাবরই এগতে থাকে। পর্যাপ্ত জলীয় বাষ্পের সহায়তায় তার শক্তি বৃদ্ধি হয়।
আইলার ক্ষেত্রে দক্ষিণ (সমুদ্রপৃষ্ঠ) থেকে তৈরি হয়ে তা সরাসরি উত্তরে আছড়ে পড়েছিল। সেখানে ফনি দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে শুরু হয়ে উপকূল বরাবর এসে উত্তর-পূর্বে আছড়ে পড়ার কথা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, উৎসস্থল সমুদ্রপৃষ্ঠ হলেও ফনির অধিকাংশ বিচরণ ক্ষেত্র থাকবে ভূপৃষ্ঠে। স্বভাবতই এই ঘূর্ণিঝড় যত এগবে, তার শক্তি তত ক্ষয় হবে। আইলার ক্ষেত্রে যা উল্টো হয়েছিল। যার জেরে ভারত-বাংলাদেশ মিলিয়ে প্রায় ১৯১ জন প্রাণ হারিয়ে ছিলেন। রাজ্যের ১০ হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছিল। ফণীর ধাক্কায় রাজ্যের বহু জেলায় মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা, গাছ উপড়ে পড়া, বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার নষ্ট হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রশাসনের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।