নেপিডো: পূর্বাভাস এমনই ছিল যে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ বাংলাদেশ এবং মায়ানমারে আছড়ে পড়বে। সবথেকে বেশি প্রভাব যে মায়ানমারে পড়বে সেটাও বলা হয়েছিল। আর তেমনটাই হয়েছে। জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছে মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। আহতের সংখ্যা ৭০০-র বেশি। আপাতত এই ঘূর্ণিঝড়কে ‘দ্বিতীয় তীব্রতম ঘূর্ণিঝড়’ বলা হচ্ছে। তাতে ছারখার হয়েছে মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা। এদিকে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব আংশিকভাবে পড়েছে বাংলাদেশেও। উপকূলের বেশকিছু অঞ্চল দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মায়ানমারে ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ২৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা কার্যত ধংসস্তূপ পরিণত হয়েছে। বাড়ি, হোটেল, অফিস সবকিছু যেন উপড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ঝড়ের ভয়াবহতার একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কিছু কিছু এলাকায় বিধ্বংসী তাণ্ডব চালিয়েছে ‘মোকা’। তাতেই প্লাবিত সে দেশের বন্দর শহর সিতওয়া। এদিকে বাংলাদেশের কক্সবাজারেও ঝড়ের বড় প্রভাব পড়েছে। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়েছে সেখানে এবং একাধিক ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষকে অন্য জায়গায় আশ্রয়স্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”‘মোকা’র প্রভাবে কেমন থাকবে আজ বাংলার অবহাওয়া? জটিল আবহাওয়া বঙ্গে” width=”789″>
অন্যদিকে ‘মোকা’র জন্য বঙ্গে গুমোট আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টি এসেও যেন আসছিল না। কিন্তু এবার জানা গেল, চলতি সপ্তাহে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কলকাতা সহ একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাত হবে বলেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। দিও গরমের প্রভাব অধিকাংশ জায়গাতেই থাকবে এবং কিছু কিছু জেলায় এই সময়ের মধ্যেই তাপপ্রবাহ হবে বলে পূর্বাভাস।