জাপান : সময়টা ১৯৫৪ সাল৷ জাপানের টোকিও শহরের হানেদা বিমানবন্দরে হাজির হয় ইউরোপিয় বিমান৷ ওই বিমানের ওঠার লাইনে দাঁড়ান হ্যাট-কোর্ট-প্যান্ট পড়া এক শ্বেতাঙ্গ৷ কাস্টম অফিসাররা নিয়ম মেনেই পরীক্ষা করেন পাসপোর্ট৷ কিন্তু কাস্টমস অফিসাররা তখনও জানতেন না যে তাঁরা এক রহস্যজনক ঘটনার মুখোমুখি হতে চলেছেন৷ সমস্ত যাত্রীর পাসপোর্ট চেক করতে করতে ওই যাত্রীর পাসপোর্ট চেক করতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে অফিসারদের৷ ওই ব্যক্তির পাসপোর্টে দেশের নাম হিসাবে লেখা ‘টরেড’৷ কর্তব্যতর অফিসার এই নামে কোন দেশের নামই শোনেননি৷ তবে, চমক এখানেই শেষ নয়৷ আছে আরও৷
জাল পাসপোর্ট ভেবে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তাক করে পুলিশ৷ করা হয় জিজ্ঞাসাবাদ৷ পুলিশি জেরায় ওই ব্যক্তি নিজেকে একজন ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন৷ ব্যবসায়ীক কাজে তিনি টরেড থেকে জাপানে এসেছেনও বলেও দাবি করেন৷ ওই ব্যক্তির চাল-চলনে পরীক্ষার জন্য জাপান পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁর নথি পরীক্ষা করা হয়৷ কিন্তু কোন নথিই জাল প্রমাণিত হয়নি৷ ফলে বেশ চিন্তায় পড়ে যান জাপান পুলিশ৷ এমনকি ওই ব্যক্তি বেশ কিছু ইউরোপীয় মুদ্রা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার প্রমাণ পান পুলিশ কর্তারা৷ অবশেষে ব্যক্তিকে ম্যাপ খুলে তাঁর দেশ চিহ্নিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়৷
ম্যাপ দেখিয়ে ওই ব্যক্তি স্পেন ও ফ্রান্সের মধ্যবর্তী একটি স্থান দেখিয়ে জানান, এটাই ‘টরেড’ দেশ৷ ওই এলাকার বাসিন্দা বলে নিজেকে প্রমাণও দেন জাপান পুলিশকে৷ বিষয়টি গোলমেলে দেখে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করে৷ কিন্তু পরদিন সকালে ঘটে যায় অদ্ভুত ঘটনা৷ যেখানেও ওই ব্যক্তিকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল, ওই ব্যক্তি ও এমনকি ওই ঘরে তার জিনিসপত্রের কোনও অস্তিত্ব নেই৷ ঘটনার পর হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেও মেলেনি কোনও প্রমাণ৷ রুদ্ধদ্বার থেকেও কীভাবে ওই ব্যক্তি কোথায়, কীভাবে উধাও হয়ে গেছিলেন তারও কোন প্রমাণ মেলেনি৷ এমন অদ্ভুত ঘটনার উত্তর আজও দিতে পারেনি জাপান পুলিশ৷