মুম্বাই: প্রাক্তনরা যখন বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া ভারতীয় দলের হাতে কাপ দেখছেন, পিছিয়ে নেই ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক কপিল দেবও। তাঁর মতে, এই দলে তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার নিখুঁত মিশ্রণ রয়েছে। তার ওপর বিরাট কোহলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো দু’জনের উপস্থিতি অংশগ্রহণকারী বাকি দেশের সঙ্গে ভারতের পার্থক্য গড়ে দেবে। ৩০ মে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ। ১৫ এপ্রিল এমএসকে প্রসাদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক মণ্ডলী বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের ভারতীয় দল ঘোষণা করে। ধোনি, কোহলি, রোহিত শর্মা, মহম্মদ সামিদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা একদিকে। অপরদিকে জসপ্রীত বুমরা, হার্দিক পান্ডিয়া, কুলদীপ যাদবদের মতো প্রতিভাবান তরুণরা আশা জাগাচ্ছেন।
এক অনুষ্ঠানে কপিল দেব বলেন, ‘তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার দারুণ সংমিশ্রণ এই ভারতীয় দল। একদিক থেকে দেখলে ভারত বাকি দেশগুলোর তুলনায় অভিজ্ঞতার দিক থেকে অনেক এগিয়ে। সঠিক ভারসাম্য রয়েছে— চারজন জোরে বোলার, তিন স্পিনার এবং দলে বিরাট কোহলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো দুই খেলোয়াড় রয়েছে। দু’জনে ভারতীয় ক্রিকেটে প্রচুর অবদান রেখেছে। ওদের কোনও বিকল্প হয় না।’
বিশ্বকাপে ভারতীয় পেস অ্যাটাকেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। কপিলের দাবি, ‘যে চার পেসার আমাদের দলে রয়েছে, ওরা অনবদ্য। আমার ধারণা, ইংলিশ কন্ডিশন থেকে সুইংয়ের ক্ষেত্রে ওরা সাহায্য পাবে। সামি আর বুমরা আছে। ওদের বলের গতি ১৪৫ প্রায়। সঙ্গে সুইং।’ চার নম্বরে কে খেলবেন, এ নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। কপিল যদিও মনে করছেন, ওভাবে নির্দিষ্ট কাউকে না ভাবাই ভালো। তাঁর যুক্তি, ‘(২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে) মুম্বাইয়ে যুবরাজের আগে ধোনি ব্যাটে নেমেছিল। ১০ বছরে ক্রিকেট অনেক পালটেছে। এখন ওপেনাররা ছাড়া যে কেউই চার নম্বরে ব্যাট করতে পারে।’ ১৯৯৯-২০০০ সালে ভারতের কোচের দায়িত্বে থাকা কপিল দেব ভারতকে অন্ততপক্ষে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দেখছেন। তাঁর মতে, ভারতের পাশাপাশি আয়োজক ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াও সেমিফাইনালে পৌঁছাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডও চমকে দিতে পারে বলে আশা করছেন কপিল।