এই বোলারের ভয়ে রাতে ঘুম হত না রোহিত ‘হিটম্যান’ শর্মার

২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় আমার প্রথম সফরের আগের রাতে ওর চিন্তায় ঘুমাতে পারিনি। আমি ভাবছিলাম, কীভাবে এই বোলারকে খেলব যে কিনা প্রতি ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করে।’

মুম্বই: সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাবড় তাবড় বোলারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন রোহিত শর্মা। তাঁর বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের জন্যই ‘হিটম্যান’ খেতাব পেয়েছেন ভারতীয় ওপেনার। কিন্তু কেরিয়ারে দু’তিন জন বোলারের ভয়ে একসময়ে ত্রস্ত হয়ে থাকতেন খোদ রোহিতই। 

রোহিত নিজেই জানিয়েছেন, একদম শুরুর দিকে ব্রেট লি-কে খুব ভয় পেতেন তিনি। এর সঙ্গে যোগ করলেন ডেল স্টেন ও জশ হ্যাজেলউডের নাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতীয় ওপেনারের অভিষেক ২০০৭ সালে। ব্রেট লি’র কেরিয়ার তখন মধ্যগগনে। নিয়মিত ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পারতেন অজি পেসার। রোহিত জানালেন, তখন ব্রেট লির মুখোমুখি হওয়ার আগের রাতে ঘুমাতে পারতেন না তিনি! রোহিত বলেছেন, ‘একজন বোলার হল (যাকে ভয় পেতেন) ব্রেট লি। কারণ, ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় আমার প্রথম সফরের আগের রাতে ওর চিন্তায় ঘুমাতে পারিনি। আমি ভাবছিলাম, কীভাবে এই বোলারকে খেলব যে কিনা প্রতি ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করে।'

আরও পড়ুন-  শ্রীলঙ্কা না আমিরশাহি, IPL আয়োজন নিয়ে দোটানায় সৌরভ অ্যান্ড কোং

‘২০০৭ সালে ব্রেট লি ফর্মের তুঙ্গে ছিল। আমি ওকে খুব কাছ থেকে দেখতাম এবং খেয়াল করেছিলাম ও তখন ধারাবাহিকভাবে ১৫০-১৫৫ কিলোমিটার গতিতে বল করে। ওই সময় আমার মতো তরুণ ক্রিকেটারের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল ওর গতি’, জানিয়েছেন রোহিত। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ডেল স্টেন এবং টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার আরেক পেসার জস হ্যাজেলউডকেও খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন না বলে জানিয়েছেন রোহিত। তিনি জানান, ‘যাদের বিপক্ষে কখনওই খেলতে চাইতাম না তাদের মধ্যে আর একজন হল ডেল স্টেন। আমি কখনও স্টেনের মুখোমুখি হতে চাইতাম না। কারণ, ওর ছিল গতি এবং সুইং, এই দুটো একসঙ্গে খেলা ছিল দুঃস্বপ্ন।’

আরও পড়ুন- ম্যান ইউকে তিন গোল দিয়ে প্রতিশোধ নিল ল্যাম্পার্ডের চেলসি

ব্রেট লি বা ডেল স্টেনের মতো গতি না থাকলেও নিয়ন্ত্রিত লাইন লেন্থ বজায় রেখে কাজ হাসিল করেন অজি পেসার জশ হ্যাজেলউড। অফস্টাম্পের বাইরে গুড লেন্থে বল রেখে তাঁর হালকা আউটসুইংয়ে খোঁচা দিয়ে ফিরে যান অনেক ব্যাটসম্যানই। বিশেষ করে নতুন বলে টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাজেলউডকে খেলা কঠিন বলে মনে করেন রোহিত শর্মা।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *