নয়াদিল্লি: শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা ছিল আজই, কিন্তু তা বিলম্বিত হল আরও দু’ সপ্তাহ। ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা বিসিসিআই-এর সভাপতি পদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বহাল থাকবেন, নাকি তাঁকে বাধ্যতামূলক ‘কুলিং অফ’ পিরিয়ডে যেতে হবে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও ১৪ দিন। একইভাবে ঝুলে রইল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পুত্র জয় শাহের ভাগ্যও।
আরও পড়ুন: নতুন নিয়োগ আদৌ হবে? কারা পাবেন চাকরি? ইঙ্গিত মমতার
এদিন (২২ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ। মুখ্য বিচারপতি এসএ বোবদে সহ দুই বিচারপতির বেঞ্চ বোর্ডের আবেদন শোনেন। অতীতে লোধা কমিশনের আইন অনুযায়ী বিসিসিআই বা রাজ্যভিত্তিক যে কোনও নিয়ামক সংস্থায় ছ’ বছর জড়িত থাকার পর বাধ্যতামূলক তিন বছরের জন্য কুলিং অফ পিরিয়েডে যেতে হবে। ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌরভের ছ’ বছর না হলেও আগে সিএবি-র (ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল) প্রধান পদে ছিলেন। আগামী ২৭ জুলাই তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু বিসিসিআই-এর তরফে গত ২১ এপ্রিল লোধা কমিশনের এই আইন বদলাতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: আগামী ৩ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক পরিষেবা, সিদ্ধান্ত ব্যাঙ্কার্স কমিটির
সৌরভের মতো জয় শাহও গুজরাট ক্রিকেটে অ্যাসোসিয়েশনের সচিব পদে ছিলেন। তাঁর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ৭ মে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন থাকায় এখন দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। মনে করা হয়েছিল আজই ফলাফল ঘোষণা করা হবে, কিন্তু ফের দু’ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে। এদিকে যাঁর জন্য শীর্ষ আদালত লোধা কমিশন বসায় সেই আদিত্য ভার্মা কিন্তু বোর্ডের ‘কুলিং অফ’ পিরিয়ডের নিয়ম তুলে দেওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। আইপিএল স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে আদিত্য ভার্মাই শীর্ষ আদালতে মামলা করেন যার জেরে কুলিং অফ নিয়মের জন্ম। কিন্তু সেই ব্যক্তি বোর্ডের শীর্ষে সৌরভকেই চাইছেন। তাঁর কথায়, ‘আমার বরাবরই মনে হয়েছে বিসিসিআইকে নেতৃত্ব দিতে সৌরভই সেরা লোক। আমি বিশ্বাস করি দাদা এবং জয় শাহকে আরও একবার বহাল করা উচিত যাতে বোর্ডকে স্থিরত্তা দেওয়া যায়।’