ম্যানচেস্টার: ইংল্যান্ডের আবহাওয়া বিশ্বে সর্বজনবিদিত। যখন তখন বিরক্তিকর বৃষ্টি, স্যাঁতস্যাঁতে হাওয়া, কখনও রোদ, আকাশের খামখেয়ালিপনায় বিদেশিরা তো বটেই, অসুবিধেয় পড়েন আদি বাসিন্দারাও। আর ম্যানচেস্টার শহরের আবহাওয়া নিয়ে তো প্রবাদই আছে, ‘ইট নেভার স্টপ্স রেইনিং ইন ম্যানচেস্টার।’ বাংলায় যার অর্থ, ম্যানচেস্টারে কখনও বৃষ্টি থামে না। এখন, বৃষ্টিতে ফুটবল খেলার অসুবিধা না হলেও ক্রিকেট অসম্ভব। তা সত্ত্বেও, অতিমারির বিরতির পর চারটের তিনটি টেস্ট ম্যাচ সেই ম্যানচেস্টারেই অনুষ্ঠিত করেছে ইসিবি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন খেলা হল মাত্র ৪৯ ওভার। বাকি দিনটা ভেস্তে গেল বৃষ্টিতে।
সদ্যসমাপ্ত টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-১ ফলে হারিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। কিন্তু ধারে এবং ভারে ক্যারিবিয়ানদের থেকে এগিয়ে পাকিস্তান। প্রথম দিনের শেষে সেই খাতা-কলমকেই প্রমাণ করলেন পাক ব্যাটসম্যান বাবর আজম। বিরাট কোহলি, স্টিভ স্মিথদের যুগে নিঃশব্দে রান করে চলেছেন এই ডানহাতি। এদিনও অধিনায়ক আজহার আলি শূন্য রানে আউট হওয়ার পর ৪৩ রানে ২ উইকেট অবস্থায় ধুঁকছিল পাকিস্তান। ওপেনার শান মাসুদকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস গড়ার কাজে মন দিলেন বাবর। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত ৬৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। ৬৯ স্ট্রাইক রেট রেখে স্কোরবোর্ড সচল রাখলেন তিনি।
অন্যদিকে ওপেনার শান মাসুদ অবশ্য অত্যন্ত মন্থর গতিতে খেলে ৪৬ রানে অপরাজিত আছেন। পাকিস্তানের দুটি উইকেট তুলে নিয়েছেন জোফ্রা আর্চার এবং ক্রিস ওকস। দ্বিতীয় দিনে বাবর আজম বনাম ইংলিশ পেসারদের লড়াই রীতিমতো উত্তেজক হতে চলেছে। মেঘলা আবহাওয়ায় ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডের মতো বল সুইং আর কোথাও হয় বলে জানা নেই। ফলে সেঞ্চুরি পেতে গেলে দৃঢ় মনোনিবেশ চাই বাবরের। তবে ইসিবি (ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড) কেন বার বার ম্যানচেস্টারে টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করছে সেটাই একটা বিস্ময়ের ব্যাপার।