মোদি-মমতার ভাগ্য নির্ধারণ, জেনে নিন ভোট গণনার খুঁটিনাটি

আজ বিকেল: মাঝে আর মাত্র একটা দিন, তারপরেই সপ্তদশ লোকসভার ফলাফল নিয়ে শুরু হয়ে যাবে জোর তরজা। ব্যাঁ ২৩ তারিখেই সকাল আটটায় শুরু হচ্ছে গণনা, বিকেলের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে কার দিকে পাল্লা ভারী হতে চলেছে। ভোটের ফল কী হবে তা জানতে আমরা আগ্রহী ঠিকই। কিন্তু কিভাবে ভোট গণনা হয় বা ভোটগণনার পদ্ধতি কী তা কি আমরা

মোদি-মমতার ভাগ্য নির্ধারণ, জেনে নিন ভোট গণনার খুঁটিনাটি

আজ বিকেল: মাঝে আর মাত্র একটা দিন, তারপরেই সপ্তদশ লোকসভার ফলাফল নিয়ে শুরু হয়ে যাবে জোর তরজা। ব্যাঁ ২৩ তারিখেই সকাল আটটায় শুরু হচ্ছে গণনা, বিকেলের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে কার দিকে পাল্লা ভারী হতে চলেছে। ভোটের ফল কী হবে তা জানতে আমরা আগ্রহী ঠিকই। কিন্তু কিভাবে ভোট গণনা হয় বা ভোটগণনার পদ্ধতি কী তা কি আমরা জানি? অধিকাংশের উত্তরই হয়তো না হবে। তাহলে আসুন একঝলকে দেখে নেওয়া যাক।

জানা গিয়েছে, গণনা হবে মোট পাঁচটি পদ্ধতিতে। প্রথমে গণনা করা হবে পোস্টাল ব্যালট। তারপর গণনা হবে সার্ভিস ভোটারদের ভোট। এরপর গণনা হবে ইভিএম। এরপর গণনা হবে ইভিএম-এর। গণনা কেন্দ্রে থাকবে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা। প্রথম গণনা হবে পোস্টাল ব্যালটের ভোট। পোস্টাল ব্যালটের পর সার্ভিস ভোটারদের ভোট গোনার কাজ। তিনটি খামের ভেতর থাকবে পোস্টাল ব্যালট। এই খামের ভেতর পোস্টাল ব্যালটের সঙ্গে থাকবে কিউ আর কোড। এই কোডকে স্ক্যান করা হবে। যদি স্ক্যান মিলে যায় তবেই এই ভোট গণনা করা হবে।

এরপরই ইভিএম কন্ট্রোল ইউনিট নিয়ে আসা হবে স্ট্রং রুম থেকে। প্রত্যেকটি গণনা কেন্দ্র যার ভিতর কাউন্টিং হল থাকবে সেখানে সাতটি বিধানসভায় প্রায় ১৪টি টেবিল ১৫ থেকে ১৬ রাউন্ড। এভাবেই কন্ট্রোল ইউনিটের গণনা করা হবে। এই ক্ষেত্রে যদি কোনও কন্ট্রোল ইউনিট বিগড়ে যায় তখন সেই কন্ট্রোল ইউনিটের ভিভিপ্যাট গণনা করা হবে। কন্ট্রোল ইউনিট এর গণনা শেষ হয়ে গেলে তারপর শুরু হবে ভিভিপ্যাটের গণনা। লটারির মাধ্যমে প্রত্যেক বিধানসভা থেকে পাঁচটি করে ভিভিপ্যাট স্ট্রং রুম থেকে নিয়ে আসা হবে কাউন্টিং হলের ভিতরে, তবে গণনা হবে এক সঙ্গেই। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে আনুমানিকভাবে প্রত্যেক বিধানসভার গণনা করতে সময় লাগতে পারে ২ ঘন্টা।

গণনা কেন্দ্রের বাইরে থাকবে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। এর বাইরে থাকবে কেবলমাত্র সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের বসার জায়গা। এই জায়গা থেকে ১০০ মিটার দূরে থাকবে পেডেস্ট্রিয়ান জোন। যেখানে থাকবেন পুলিশ কর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের আধিকারিকরা। ওই চত্বরে কোনও গাড়ি-চলাচল করবে না। সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে চলে যেতে পারবেন। গণনার দিন সকাল থেকেই কেন্দ্রের বাইরে  ও ১০০ মিটারে মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হবে। সেখানে কোনও গাড়িকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। পর্যবেক্ষকরা ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে গণনা কেন্দ্রের ভিতর ঢুকতে পারেন না। ভোটগণনা চলাকালীন কোনও ভোট কর্মী সেখান থেকে বেরতে বা ঢুকতে পারবেন না। কোনওরকম বিশৃঙ্খলা এড়াতে সেদিকে কড়া নজর থাকছে কমিশনের।

প্রত্যেক বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য একজন করে পর্যবেক্ষক থাকেন। তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট দেন। প্রত্যেক রাউন্ডের গণনার পর, পর্যবেক্ষকরা ফল মূল্যায়নের জন্য এলোমেলোভাবে যেকোনও ২টি ভোটিং যন্ত্র বেছে নেন। প্রত্যেক রাউন্ডের পর ভোট গণনার কার্যপ্রণালী একাধিক বার পরীক্ষা করার পর কমিশনে জানান। এরপর তারা ভোট কেন্দ্রের মিডিয়া সেন্টারে সাধারণের জন্য ফলের প্রবণতা জানাতে থাকেন। গণনার শেষে সংখ্যাগুলি ৩ বার করে পরীক্ষা করেন পর্যবেক্ষকরা, এবং প্রত্যেক টেবিলের ভোটগণনার কর্মীকে যাচাই করার পর রিটার্নিং অফিসারকে ফল ঘোষণা করতে বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 4 =