ওয়াশিংটন: বিশ্ব জুড়ে আর্থিক মন্দা চলছে৷ আর তার জেরে খরচে লাগাম দেওয়ার পথে হাঁটল রাষ্ট্রসংঘ৷ বিদ্যুতের খরচ কমাতে চলন্ত সিঁড়ি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ কূটনৈতিকদের জন্য রাখা বার বন্ধ৷
রাষ্ট্রসংঘ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বিরাট সংখ্যক কর্মীরা বেতন অনিয়মিত না হয়, সেই বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত৷ রাষ্ট্রসঙ্ঘের ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র জ্যাকলিন পলান্ড জানিয়েছেন, আমাদের আর কিছু করার ছিল না৷ আমরা চেষ্টা করছি, যাতে এখানকার ৩৭ হাজার কর্মীর নিয়মিত বেতন দেওয়া যায়৷ রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনি গুয়েতেরেস নিজে ঘোষণা করেছেন, কোন কোন ক্ষেত্রে খরচ লাগাম টানা হবে৷ এবার থেকে রাষ্ট্রসংঘের কর্তারা বিমানে ভ্রমণ করবেন আগের চেয়ে কম মূল্যে বিমানে৷ আগের মত ঘনঘন পার্টি দেওয়ার আর হবে না৷ আপাতত নতুন কর্মী নিয়োগ স্থগিত রাখা হচ্ছে৷ নথিপত্র ও রিপোর্ট তৈরি করা হবে৷ এমনকী বন্ধ রাখা হতে পারে এয়ার কুলার৷
বিবৃতিতে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব জানিয়েছেন, গত এক দশকে রাষ্ট্রসংঘ এমন আর্থিক সংকটে পড়েনি৷ আমাদের অর্থ সঞ্চয় কমে যাচ্ছে৷ চলতি মাসের শেষে কর্মীদের বেতন দিতে সমস্যা হতে পারে৷ ফলে চলতি বছরে অপারেটিং বাজেট ঘাটতি ১৪০ কোটি ডলার৷ সাতটি দেশ সংস্থাকে প্রাপ্য টাকা দেয়নি৷ সাতটি দেশের পাওনা টাকা মিটিয়ে দিলে রাষ্ট্রসংঘের আর্থিক ঘাটতি ৯০ শতাংশ মিটে যাবে৷ ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, ইরান, ইসরায়েল, ভেনেজুয়েলা-সহ ফ্রান্সের কাছে ১০ কোটি ৩০ লক্ষ ডলার পাওনা রয়েছে রাষ্ট্রসংঘের৷ আমেরিকার কাছে ২৩০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে৷