নয়াদিল্লি: পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২ অক্টোবর থেকে দেশে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক সরকারিভাবে নিষিদ্ধ হতে চলেছে৷ গত ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার ভাষণ থেকে প্লাস্টিক মুক্ত ভারত গড়ার ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সেই অনুযায়ী আগামী ২ অক্টোবর থেকে গোটা দেশে ৬ ধরনের প্লাস্টিক দ্রব্য বন্ধ করা হচ্ছে৷ দেশজুড়ে প্লাস্টিকের ব্যবস্থারে লাগাম টানতে এবার কলকাতা হাইকোর্টে নিষিদ্ধ হল প্লাস্টিকের ব্যবহার৷
আদালত সূত্রে খবর, কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে এখন থেকে দু’ধরনের প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল বি রাধাকৃষ্ণাণ আদালত প্রশাসনকে নির্দেশ পাঠিয়ে উচ্চ আদালত চত্বরে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছেন৷ আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে৷ ইতিমধ্যেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকে শুরু করে কলকাতা হাইকোর্টের নিয়ন্ত্রণে থাকা জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চেও এই একই নিষেধাজ্ঞা জারি হবে বলে জানা গিয়েছে৷ হাইকোর্ট চত্বরে প্লাস্টিক নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে ইতিমধ্যেই জনসচেতনতা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ আগামী সোমবার বিকেলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে৷ যেখানে থাকবে প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে জনসচেতনতার বার্তা দেওয়া হবে৷
২০২২ সালের মধ্যে প্লাস্টিক মুক্ত ভারত গড়ার ডাক দিয়েছেন মোদি৷ আর সেই লক্ষ্য পূরণে এবার কোমর বেঁধে আসলে নামল কেন্দ্রীয় খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রীক৷ ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে৷ ঠান্ডা পানীয় প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে প্লাস্টিকের বিকল্প নিয়ে ভাবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এই নিয়ে তারা কি ভাবছে আগামী দিন কয়েকের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে৷ তাদের মতামত পেলেই সরকার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলে সূত্রে খবর৷
জানা গিয়েছে, দিল্লিতে দেশের ঠান্ডা পানীয় প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির কর্তাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠকে বসেন মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান৷ সেই বৈঠকে তিনি জানান, দেশকে কীভাবে ধাপে ধাপে প্লাস্টিক মুক্ত করা হবে, এই নিয়ে সার্বিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ গঠিত হয়েছে একটি কমিটি৷ পরিবেশ দূষণ ভূমিকা রয়েছে প্লাস্টিকের৷ প্লাস্টিকের ব্যাপক ব্যবহার শুধু মানুষই নয় পশুপাখি ও বিপন্ন হচ্ছে৷ তাই প্লাস্টিক বন্ধ করতে খুঁজতে হবে বিকল্প৷ আর তাতেই প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্লাস্টিক মুক্ত ভারত গড়ার সম্ভব বলেও জানান মন্ত্রী৷