ব্যস্ত স্টেশনে ব্যর্থ প্রেমিকের ধর্না, ছেলের কান টেনে বাড়ি নিয়ে গেলেন বাবা!

বারাসত: প্রেম ফিরে পেতে ব্যস্ত স্টেশনে ধর্নায় বসেছিলেন প্রেমিক৷ কিন্তু হিন্দি ছবির ভিলেনের মতো ধর্না মঞ্চে হাজির প্রেমিকের বাবা৷ ভরা স্টেশনে জনতার ভিড় ঠেলে ছেলের কান টেনে হিড়হিড় করে টানতে টানতে নিয়ে গেলেন বাড়ি৷ চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী গোবরডাঙার তিন নম্বর স্টেশন৷ জানা গিয়েছে, গোবরডাঙা এলাকার নকপুলের বাসিন্দা এক যুবক মছলন্দপুর এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক

ব্যস্ত স্টেশনে ব্যর্থ প্রেমিকের ধর্না, ছেলের কান টেনে বাড়ি নিয়ে গেলেন বাবা!

বারাসত: প্রেম ফিরে পেতে ব্যস্ত স্টেশনে ধর্নায় বসেছিলেন প্রেমিক৷ কিন্তু হিন্দি ছবির ভিলেনের মতো ধর্না মঞ্চে হাজির প্রেমিকের বাবা৷ ভরা স্টেশনে জনতার ভিড় ঠেলে ছেলের কান টেনে হিড়হিড় করে টানতে টানতে নিয়ে গেলেন বাড়ি৷ চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী গোবরডাঙার তিন নম্বর স্টেশন৷

জানা গিয়েছে, গোবরডাঙা এলাকার নকপুলের বাসিন্দা এক যুবক মছলন্দপুর এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় মেধাবী এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে৷ দীর্ঘদিন ধরে চলে ওই যুবকের প্রেমপর্ব৷ অভিযোগ, গত আগস্টে তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ ভেঙে যায় প্রেমিক প্রেমিকার সম্পর্ক৷ কিন্তু সম্পর্ক ভাঙার কয়েকদিন পর ফের প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করেন প্রেমিক যুবক৷ ফোনে না পেয়ে বারংবার মেসেজ পাঠাতে থাকেন ওই যুবক৷

কিন্তু কোনও ভাবেই প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ না হওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে গোবরডাঙা স্টেশনের তিন নম্বর প্লাটফর্মে সাদা কাগজে আলতা দিয়ে লেখা প্রেমিকার নাম৷ পোস্টারে সাঁটানো প্রেমিকার ছবি৷ ব্যস্ত স্টেশানের ওপর প্রেমের জন্য যুবকের ধর্নার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জনতার মধ্যে তুমুল কৌতূহল সৃষ্টি হয়৷ প্লাটফর্মের উপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা উপভোগ করতে থাকেন পথচলতি জনতা৷ গোটা বিষয়টি বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়ে গোটা গোবরডাঙা চত্বরে৷ খবর পৌঁছে যায় প্রেমিকের বাবার কাছেও৷ ছেলের কীর্তি শুনে নিজেকে আর সামলাতে পারেননি তিনি৷

তড়িঘড়ি স্টেশনে ছুটে গিয়ে ছেলের খোঁজ শুরু করেন৷ ৩ নম্বর প্লাটফর্মে ছেলেকে প্রেমের জন্য ধর্নায় বসে থাকতে দেখে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যক্তি৷ পরে ছেলের কান ধরে স্টেশন থেকে টানতে টানতে বাড়িতে নিয়ে যান৷ প্রেমের ভূত ছাড়াতে ছেলেকে কার্যত গৃহবন্দি করে রাখার সিদ্ধান্ত নেন ওই ব্যক্তি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *