কলকাতা: বিগত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দিচ্ছে রাজ্য সরকার৷ চলতি বছর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি অনুদান ১০ হাজার থেকে বেড়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, বিদ্যুতের মাশুলেও ছাড় দেওয়া হয়েছে৷ এই অবস্থায় কলকাতা পুলিশের সঙ্গে কালীপুজো কমিটিগুলির সমন্বয় বৈঠকে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা অনুদান ও বিদ্যুতের মাশুল ছাড় দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পুজো কমিটির সদস্যরা৷ যদিও এ বিষয়ে পুলিশ কোনও মন্তব্য করতে চাননি৷
দুর্গাপুজোয় যেমন পুলিশকে ভিড় সামলাতে হয়, কালীপুজোর ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জটা ঠিক উল্টো৷ কালীপুজোয় কলকাতার ক্ষেত্রে লম্বা লাইন দিয়ে ঠাকুর দেখার চল নেই বললেই চলে৷ কিন্তু কলকাতা পুলিশের চ্যালেঞ্জ, শব্দ দৌরাত্ম্য রুখতে শহরবাসীকে রক্ষা করা৷ সেই নিয়ে দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়৷ সোমবারেক বৈঠকে হাজির ছিলেন পুলিশ কমিশনার অর্জুন সিংহ-সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাভেদ শামিম৷ কালীপুজো কমিটি গুলিকে শব্দবাজি তাণ্ডবের হাত থেকে শহরবাসীকে রক্ষা করতে বিশেষ দায়িত্ব নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ৷ এর পরেই কয়েকটি পুজো কমিটির বিশেষ দাবিতে বৈঠকের মোড় ঘুরিয়ে দেন৷
মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে পুজো হয় কালীঘাট গরমিল সংঘের৷ তাদের সদস্যরা এদিন বৈঠকে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী দুর্গা পুজোতে কমিটিগুলির সঙ্গেও বৈঠক করেন৷ এবার কালীপুজো কমিটিগুলিকে নিয়েও বৈঠক করুন মুখ্যমন্ত্রী৷ দুর্গাপুজোয় এতদিন ধরে চলে যে অনেক সময় কালীপুজো প্যান্ডেল তৈরি করতে সমস্যা হয়৷ আমাদের চাঁদাও অত বেশি ওঠে না৷ আর বিজ্ঞাপন নেই৷ আর কয়েকটি পুজো কমিটি ও তাদের বক্তব্যে সম্মতি দেয়৷ সম্মতিক্রমে দুর্গাপুজোয় ২৫ হাজার টাকা করে অনুদানের মতো কালীপুজোর ক্ষেত্রেও ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা অনুদানের দাবিও জানান তারা৷