কলকাতা: কালিকাপুরাণ অনুসারে দক্ষকন্য সতীর পরবর্তী রূপ কালী৷ কালীই জগৎ সৃষ্টি করেছেন৷ এই সৃষ্টিরূপিনী, স্নেহময়ী কালী মা ভিন্ন রূপে পূজিত হন৷ হিন্দু সনাতন ধর্মে কালীর রূপভেদে ভিন্ন আঙ্গিকে, ভিন্ন উপাচারে পুজোর আয়োজন করা হয়৷
ভগবানের আরাধনার প্রকৃত ভাবধারা ও পদ্ধতি নিয়ে সোচ্চার সনাতনী সংস্কার ও সংযুক্তি সংঘ৷ সংঘের মতে বর্তমান সময়ে আধুনিকতার ছোঁয়ায় পুজোর আয়োজনে আধ্যাত্মিক ও সাত্ত্বিক ভাবের পরিবর্তে বাহ্যিক আড়ম্বরের প্রাধান্যই বেশী৷ বড় বাজেটের পুজো করতে গিয়ে পূজো প্রকৃত মাহাত্ম নষ্ট হচ্ছে পরিবর্তে কোটি কোটি টাকার অপচয় ও তছরুপ হচ্ছে বলেও মনে করে এই সংঘ৷
এবছর কালীপুজোর দুদিন আগেই এই সংঘের উদ্যোগে রাজ্যের জেলাগুলির বিভিন্ন পুজোমণ্ডপ ঘুরে দেখেন বিশিষ্টজনেরা৷ তাদের বিচারের আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতার সঙ্গে নিষ্ঠা ও রুচিশীলতার মেলবন্ধনে পুজোর আয়োজন করেছেন যে পুজো উদ্যোক্তারা তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হল মৌলালি যুবকেন্দ্রে৷ অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ভারত সেবাশ্রম সংঘের সম্পাদক শ্রীমৎ স্বামী বিশ্বাত্মানন্দজী মহারাজ সহ বিদ্বজনেরা৷