জর্জিয়া: ক্লো ডরসি, এই নামে কোনো সুপার ওম্যানের চরিত্র মনে পড়ছে? না, এখনও তেমন কোনও চরিত্র তৈরি হয়নি। তবে সম্প্রতি জর্জিয়ায় এই তরুণীর নামের সঙ্গে জুড়ে গেছে সুপার ওম্যানের তকমা। জর্জিয়ার স্টোন মাউন্টেন পার্কে সকাল সকাল জগিং করতে গেলে এই নামটি আরও বেশি শুনতে পাবেন। গল্প হবে তার সুপার পাওয়ার নিয়ে। কারণ প্রতিদিনের মত সেদিনও ক্লো ডরসি গেছিলেন ওই পার্কে জগি়ং করতে। দেখেছিলেন একটি হরিণীকে ঘুরে বেড়াতে। তবে ওই মুক্ত পরিবেশে প্রাণীটি কিভাবে বিপদে পড়তে পাড়ে ভাবতেও পারেননি।
হঠাৎই লোহার বেড়ায় আটকে পড়ে ওই হরিণী। তাকে মুক্ত করার দৃশ্যই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। আর তা হবেই না বা কেন? একটা হরিণীকে লোহার রড সরিয়ে বাঁচানোর প্রচেষ্টা কোনো মেয়ে কেন, কটা ছেলে ভাবতে পারে? ক্লো নিজেও হয়ত জানত না, যে একটি অসহায় প্রাণীকে উদ্ধারের জন্য তার মধ্যে এমন অভাবনীয় ক্ষমতার সৃষ্টি হতে পারে। তাও একবার নয়, পরপর দুবার। সুপার হিরোদের মত রীতিমত ফিল্মি কায়দায় দুহাত দিয়ে লোহার দুটি রড টেনে ফাঁক করে আটকে পড়া হরিণীকে মুক্ত করেন ওই তরুণী। উত্তেজনার বশে নিজেও লাফিয়ে বেড়া টপকে হরিনীর দিকে এগিয়ে যান।
তখন প্রাণের ভয়ে দিশেহারা হরিণীটি পালাতে গিয়ে আবারও পার্কের আরও একটি বেড়ায় আটকে যায়। এবার ক্লো-র পক্ষে কাজটা ততটা সোজা ছিলনা। এবার ওই হরিণী কে বাঁচানোর জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও কাজ হচ্ছিল না। লোহার শক্ত রড টেনে ফাঁক করতে তার সাহায্যের প্রয়োজন হবে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত তার দ্বিতীয় প্রচেষ্টাও সফল হল। হরিনীর একছুটে নিজের দলে মিশে গেল। আবেগ তাড়িত ক্লো প্রাণীটির উদ্দেশ্যে বলে ওঠেন “You need to learn how to jump, boo”- অর্থাৎ কিভাবে লাফিয়ে যেতে হয় সেটা তোমার লেখা উচিত ছিল।
সেই সফলতার মূহুর্তগুলো নিজের সেলফোনে ধরে রাখেন ক্লো। পরে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করতেই, রাতারাতি মিডিয়া সেনসেশন হয়ে যান ওই জর্জিয়ান তরুণী। তাঁর এই পোস্ট ২০ হাজার বার দেখা হয়েছে। যা সত্যিই বিস্ময়কর। নেটিজেনরা তো তার এই প্রচেষ্টার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ক্লো নিজেও তার সাফল্যে কিঞ্চিত বিস্মিত এবং অভিভূত।