কলকাতা: সরকার পোষিত অথবা সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির বেতন কাঠামো সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করল রাজ্য অর্থ দপ্তরের স্কুল শিক্ষা দপ্তর৷ নির্দেশিকা অনুসারে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দেওয়া অপশন ফর্মগুলি যাচাই করার জন্য প্রত্যেক জেলা (মধ্যশিক্ষা পর্ষদ) অর্থ দপ্তরের সমস্ত জয়েন্ট ডাইরেক্টর অফ অ্যাকাউন্ট (জেডিএ), ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর অফ অ্যাকাউন্ট (ডিডিএ) এবং অ্যাডিশনাল ডাইরেক্টর (এডিএ)দের উদ্দেশ্যে এই নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর৷
রোপা ২০১৯-এর সংশোধিত বেতন কাঠামোয় উল্লিখিত অপশনগুলি পরীক্ষা করে পুরনো বেতন কাঠামো অনুযায়ী বর্তমানে প্রাপ্ত বেতন অনুসারে সঠিকভাবে অপশন ফর্ম পূরণ হয়েছে কি না বিশেষত সে বিষয়টি যাচাই করে তথ্যগুলি রেকর্ড করে রাখতে বলা হয়েছে এই নির্দেশিকায়৷ পুরনো বেতন কাঠামো যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ফাইলগুলি প্রয়োজনে আবারও জেডিএ, ডিডিএ, এডিএ-দের পাঠানো হবে৷ অপশন ফর্মগুলি ইতিমধ্যেই স্কুল শিক্ষা দপ্তরের মুখ্যসচিব কর্তৃক অনুমোদিত৷
ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকর হওয়ার পর সেপ্টেম্বরে ‘রোপা ২০১৯’ বিধি সংক্রান্ত যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, তাতে অপশন ফর্ম পূরণের কথা উল্লেখ করা হয়৷ নির্দেশ অনুযায়ী ২০১৬ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে নতুন বেতন হার কার্যকর করার কথা বলা হয়৷ একই সঙ্গে কোনও বকেয়া পাওয়া যাবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়৷ তবে, বকেয়া না দিলেও ‘নোশনাল’ এফেক্ট হিসাবে ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন বেতন হার কার্যকর করতে চলছে৷ তার জেরেই প্রতি বছরে তিন শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি ধরে কর্মীদের বর্ধিত বেতন হার নির্ধারিত করেছে রাজ্য৷
অপশন কী? বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে নতুন বেতন কাঠামোর সুবিধা নিতে পারেন৷ আবার নতুন বেতন হারের বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ অপশন ফর্মে কর্মীরা জানাতে পারবেন, আপাতত তিনি যে হারে বেতন নিচ্ছেন, তা অব্যাহত থাকবে৷ আবার পরবর্তী পদোন্নতির সময় থেকে তিনি নতুন হারে বেতন নিতে পারেন৷ সেই অপশনও দেওয়ার সুযোগ আছে৷ তবে, এর আগে ২০০৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে ১২ মাসের বকেয়া দেওয়া হলেও এবার বকেয়া পাওয়ার সুযোগ কোনও নেই৷
নির্দেশিকা মেনে পে ফিক্সেশন ফর্মের মাধ্যমে কর্মচারীদের নাম, স্কুল, কত সালে কাজে যোগদান করেছেন, উচ্চ মাধ্যমিকে কত শতাংশ নম্বর পেয়েছেন, পে-ব্র্যান্ড কত, গ্রেড পে হিসাবে সেইসব শিক্ষকরা কত টাকা বেতন পান, সে বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে৷