বোলপুর: দেউচা পাচামি কয়লাখনি চালু করার ঘোষণা করে গত অক্টোবরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, খনির জন্য জমি অধিগ্রহণে সমস্যা হবে না৷ সবাইকে দেওয়া হবে পুনর্বাসন৷ কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরও দেউচা পাচামি কয়লাখনি প্রকল্পে এবার পুনর্বাসন জট৷
উদ্বোধনের আগেই জমি জটে পরল দেউচা পাচামি কয়লাখনি প্রকল্প৷ পুনর্বাসন বিতর্কে প্রশ্নের মুখে প্রকল্পের ভবিষ্যৎ৷ পুনর্বাসন না দিলে প্রকল্প নয়, সাফ হুঁশিয়ারি সিটুর৷ বাম শ্রমিক সংগঠনের দাবি, প্রকল্প এলাকায় ৩০ হাজার বাসিন্দার পুনর্বাসন নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি৷ ফলে, পুনর্বাসন ছাড়া কোনও ভাবেই খনি করা যাবে না বলেও দাবি উঠতে শুরু করেছে৷
বাম শ্রমিক সংগঠনের এই দাবির পাল্টা দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল৷ তাঁর দাবি, কেউ যদি বলে প্রকল্প হতে দেবে না, পারলে তাঁরা আটকে দেখান৷ এখানে ১ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে৷ প্রকল্প বন্ধ করতে দেব না আমরা৷
ইতিমধ্যেই এই দেউচা পাচামি কয়লা খনির ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র৷ দেওয়ানগনজ ও হরিণসিংঘা গ্রামে প্রাথমিক ভাবে কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর৷ জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে ১৭টি কয়লা ব্লককে কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রক রাজ্যকে বণ্টন করে৷ এই প্রকল্পটি এশিয়ার বৃহত্তম কয়লাখনি হিসাবে উঠে আসতে চলেছে৷ দেউচা পাচামি খনিতে ২১০২ মিলিয়ন টন কয়লা মজুত রয়েছে৷ এটাই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি হিসাবে আত্মপ্রকাশ হওয়ার কথা৷ এই প্রকল্পে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা লগ্নি কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কিন্তু, এই প্রকল্পে পরিবেশের ছাড়পত্র মেলেনি বলে অভিযোগ বিজেপির৷
জানা গিয়েছে, প্রায় প্রায় ১২ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুডে এই খনি অবস্থিত৷ প্রকল্প এলাকায় প্রায় ৪০০ পরিবার বসবাস করেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর৷ তার মধ্যে বেশির ভাগ আদিবাসী৷ কিন্তু, এতবড় প্রকল্পে এবার পুর্নবাসন বিতর্ক ঘিরে তৈরি নয়া জট৷