কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, একাধিক অভিযোগ, দাবিদাওয়া নিয়ে এবার পথে নামতে চলেছে শিক্ষক সংগঠনগুলি৷ আগামি ১৩ জানুয়ারি সোমবার শিক্ষক সংগঠনের আহ্বানে ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে মহাজাতি সদন পর্যন্ত মহামিছিল করবে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ-সহ একাধিক গণসংগঠন৷
ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলাম জানিয়েছেন মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি, জনবিরোধী ও সংবিধান বিরোধী সিএএ ও এনআরসি বিরোধিতা ও জামিয়া, জেএনইউ-সহ অন্যান্য শিক্ষাঙ্গনে বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সংগঠিত হচ্ছে এই মহামিছল৷
এই মহামিছিলের মূল ইস্যুগুলি হল, কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্রান্ত জাতীয় শিক্ষানীতি৷ যার ফলে প্রকল্পভিত্তিক বা চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক (এসএসকে/এমএসকে/এএস),মাদ্রাসা ও পৌরসভার শিক্ষক শিক্ষিকা, পার্শ্ব শিক্ষক,শিক্ষাবন্ধু,বৃত্তিমুলক শিক্ষক,কম্পিউটার শিক্ষকরা আগামি ২০২২ সালের মধ্যে চাকরী হারাতে চলেছেন৷
শিক্ষাঙ্গনে একের পর এক হামলার প্রতিবাদ৷ গত ৫ জানুয়ারি রাতের অন্ধকারে দিল্লির জহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়(জেএনইউ) ছাত্রীদের হোস্টেলে মুখে কাপড় বেধে আরএসএস প্রভাবিত এবিভিপি-র দ্বারা ছাত্র/ছাত্রী ও অধ্যাপকদের সঙ্গে নির্মম ও বর্বরোচিত আক্রমনে রক্তাক্ত হয়েছে শিক্ষাঙ্গন৷ সিএএ ও এনআরসির মত কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী ও সংবিধান বিরোধি আইনের প্রতিবাদ৷
শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ ও অন্যান্য শিক্ষক সংগঠনের সহযোগিতায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এই মহামিছিল৷ তাই বিজেপি ছাড়া অন্যান্য যেকোনো সংগঠনকে রাজনৈতিক ব্যানার ছাড়া মহামিছিলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে৷ এই মহামিছিলে সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষ তথা বুদ্ধিজীবীরাও সামিল হবেন৷
আগামী ১৩ জানুয়ারি মহা মিছিলের জন্য আয়োজকদের সুবিধার্থে সমস্ত জেলা নেতৃত্বদের কাছে বিশেষ কয়েকটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে৷ ১৩ জানুয়ারী সোমবার বেলা ১২টার মধ্যে ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেল মিলিত হতে হবে৷ মহামিছিলের মূল তিনটি ইস্যুতে জেলাগত ভাবে প্রত্যেক সংগঠনের নামে ছোটো-বড়ো অন্তত ৫০টি পোষ্টার অথবা ব্যানার নিয়ে আসতে হবে৷ জেলাগতভাবে একটি করে বড়ো মাপের জাতীয় পতাকা নিতে হবে৷ মহা মিছিলে যোগদানকারীরা বাসে এলে বাবুঘাটে বাস রাখার ব্যবস্থা থাকছে৷ এই কর্মসুচীতে জমায়েতের জন্য তৎপরতার সঙ্গে সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে প্রত্যেক জেলা, ব্লক ও রাজ্য নেতৃত্বরা৷