কলকাতা: শহরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পা রাখার আগে থেকে বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল হয়ে পড়েছে তিলোত্তমা৷ দফায় দফায় বিক্ষোভ, স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে কলকাতার আকাশ-বাতাস৷ একই দিনে একবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অন্যদিকে, কিছুক্ষণের মধ্যেই বিক্ষোক্ষ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷
শনিবার সাড়ে সাতটা থেকে আটটার সময় থেকে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ডোরিনা ক্রসিং৷ বাম এবং কংগ্রেসের বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকায়৷ বিক্ষোভে সামিল যাদবপুরের পড়ুয়াদের একাংশও৷ কার্যত পড়ুয়াদের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি পুলিশের৷ ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে ব়্যাফ৷ বিক্ষোভ, অবরোধে কলকাতা জুড়ে তীব্র যানজট৷ রাস্তায় চাকা নড়ছে না গাড়ির৷ একটা সময় পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙে পড়ুয়ারা সামনের দিকে এগিয়ে যায়৷ যার ফলে উত্তেজনা আরই বাড়তে থাকে৷
আজ শনিবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফরের বিরোধীতায় চলছে বিক্ষোভ-অবরোধ কর্মসূচি৷ অশান্তির আশঙ্কায় দমদম বিমানবন্দর থেকে রেস কোর্সে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে৷ যদিও রেস কোর্সে নামার পর সড়ক পথে রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী৷ আর সেখানে কোনও যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্যে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়৷ প্রধানমন্ত্রী যে পথে রাজভবনে যাওয়ার কথা ছিল সেই সমস্ত রাস্তায় ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়৷ কাউকে সিমানার মধ্যে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও ফ্লাইওভার থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানোর চেষ্টা করা হয়৷
শনিবার শহরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ আজ বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে রবিবার দুপুর একটা পর্যন্ত ঠাসা কর্মসূচী ছিল প্রধানমন্ত্রীর৷ তবে বেশীরভাগ অনুষ্ঠানই ছিল পোর্ট ট্রাস্টের তরফে৷ কোনও রাজনৈতিক প্রচার নয়, সম্পূর্ণ সরকারী অনুষ্ঠানে শহরে পা রেখেছেন তিনি৷ এর মধ্যে যেমন তিনি গিয়েছেন মিলেনিয়াম পার্কে, তেমনই যোগ দিয়েছেন পোর্ট ট্রাস্টের ১৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে৷ আবার রাজভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ যদিও মোদী-মমতার এই বৈঠককে একহাত নিয়েছেন বিরোধীরা৷