নদীয়া: মামলা, বিতর্ক, রাজনীতির গেরোয় এখনও বিশ বাঁও জলে বাংলার চিটফান্ড তদন্ত৷ বিতর্ক-রাজনীতি চললেও লাটে চিট ফান্ড প্রতারিত আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার পর্ব৷ আর তার জেরে আরও ধুঁকছেন গ্রাম-বাংলায় হাজারো চিট ফান্ড এজেন্ট৷ একদিকে পাওনাদারদের চাপ, অন্যদিক ঘটি-বাটি বিক্রি করে সর্বস্বান্ত হওয়ার অবস্থা৷ পাওনাদারদের অত্যাচার ও সংসার চালানোর খরচ জোগাতে লোকাল ট্রেনে কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপনে দিলেন ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট৷ লোকাল ট্রেনে জ্যোতিষীদের বিজ্ঞারনের মাঝে যুবকের কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপনে দেখে থ নিত্যযাত্রীরা৷
বনগাঁ-শিয়ালদহ বিভিন্ন লোকাল ট্রেনের কামরায় সাঁটানো বিজ্ঞাপন৷ সেখানে জ্বলজ্বল করছে কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন৷ কিডনি বিক্রি করতে চাওয়া ব্যক্তির দাবি, তিনি একটি ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে৷ সারদাকাণ্ডের পর থেকে বন্ধ কোম্পানি৷ পাওনাদারদের চাপ দিনে দিনে বেড়ে চলেছে৷ জমি-গয়না বন্ধক দিয়ে কিছু টাকা মেটানো হলেও পুরোটা মেটানো সম্ভব হয়নি৷ এখন দেনা মেটাতে মাসে প্রয়োজন ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা৷ বিষয়টি বেআইনি হলেও পাওনাদারদের টাকা মিটাতে কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছেন তিনি৷
জানা গিয়েছে, ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থার ওই এজেন্ট নদীয়ার ধানতলা থানার হাঁটুভাঙা গ্রামের বাসিন্দা৷ নাম কপিলদেব বিশ্বাস৷ কোনোক্রমে চলে সংসার৷ বাবা প্রয়াত৷ কিডনির সমস্যায় ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে৷ বাবা-ভাইয়ের চিকিৎসা করাতে রানাঘাটের এক অর্থলগ্নি সংস্থায় যোগ দেন তিনি এজেন্ট হিসাবে৷ বাজার থেকে কয়েক লক্ষ টাকা তোলেন৷ কিন্তু, সারদা কাণ্ডের জেরে কোম্পানি বন্ধ হয়ে যায়৷ শুরু হয় পাওনাদারদের চাপ৷ ১০ কাঠা জমি ও সোনা বন্ধক রেখে টাকা মেটানোর চেষ্টা করা হলেও এখনও লক্ষাধিক দেনা৷ আর তাই কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন বছর ৩২-এর যুবকের৷