পুর ভোটের আগে বকেয়া কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ নবান্নের

এগিয়ে আসছে পুর ভোট । তার আগে সমস্ত উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বকেয়া কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে রাজ্যের সব পুরসভা ও নিগম গুলিকে ওই সব প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।  এপ্রিলের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। তার পরেই ভোট বাকি থাকা অন্যান্য পুরসভা গুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগেই  উন্নয়নমূলক সব প্রকল্পের বকেয়া  কাজ শেষ করে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার।

কলকাতা: এগিয়ে আসছে পুর ভোট । তার আগে সমস্ত উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বকেয়া কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে রাজ্যের সব পুরসভা ও নিগম গুলিকে ওই সব প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।  এপ্রিলের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। তার পরেই ভোট বাকি থাকা অন্যান্য পুরসভা গুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগেই  উন্নয়নমূলক সব প্রকল্পের বকেয়া  কাজ শেষ করে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার।

একই মনোভাব শাসক দলের। যাতে ভোটের প্রচারে সেই সব প্রকল্পের কথা তুলে ধরা হয়।অর্থ দপ্তর সূত্রের খবর শহরাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য পুরসভাগুলির মাধ্যমে ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৬ হাজার কোটি টাকা ইতিমধ্যেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বকেয়া টাকাও দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পানীয় জল, আবাস যোজনার মত  প্রকল্প কে বিশেষ গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।

একই সঙ্গে পুরভোটের আগে কলকাতার হকারদের হাতে লাইসেন্স তুলে দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যে নতুন হকার নীতি তৈরি হবে। নবান্ন সূত্রের খবর, দু'এক দিনের মধ্যেই তার খসড়া জমা পড়বে কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের সবুজ সঙ্কেত মিললেই তা কার্যকর করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করবে সরকার। হকার নিয়ন্ত্রণের জন্য গঠিত হবে টাউন ভেন্ডিং কমিটি। সাধারণ হকারদের দ্বারা নির্বাচিত টাউন ভেন্ডিং কমিটির সুপারিশ মেনে হকারদের লাইসেন্স দেবে কলকাতা পুরসভা। হকাররা কোথায় বসতে পারবেন আর কোথায় পারবেন না, সেটাও পুরসভা ঠিক করে দেবে।

পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হকারদের লাইসেন্স দেওয়ার আগে প্রথমে ডিজিটাল সার্ভে করা হবে। তাতে সমস্ত হকারের ছবি তুলে রাখা হবে। এরপর সমীক্ষক দল পাঠিয়ে বৈধ হকারের তালিকা বানানো হবে। তাঁদের প্রত্যেককে একটি করে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। এরপর টাউন ভেন্ডিং কমিটি গঠন করা হবে। টাউন ভেন্ডিং কমিটির মোট সদস্যের ৪০ শতাংশ হকার এবং ১০ শতাংশ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা থাকবেন। বাকি ৫০ শতাংশ সরকারি প্রতিনিধি। তার মধ্যে কলকাতা পুরসভা কমিশনার ছাড়াও পুলিশ, ব্যাঙ্ক, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা থাকবেন। তালিকাভুক্ত হকাররা ভোট দিয়ে টাউন ভেন্ডিং কমিটির প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করবেন।

টাউন ভেন্ডিং কমিটিই হকারদের নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মনীতি তৈরি করবে। হকিং জোন, নন হকিং জোন ঠিক করবে। হকারদের পরিচয় পত্র দেবে। ফুটপাথে ব্যবসা করার জন্য হকাররা পুরসভাকে কত টাকা 'ইউজার্স ফি' দেবে, সেটাও টাউন ভেন্ডিং কমিটি ঠিক করবে। টাউন ভেন্ডিং কমিটির কোনও সিদ্ধান্ত মনোমত না হলে রিড্রেসাল সেলে অভিযোগ জানানো যাবে। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এবং দু'জন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে রিড্রেসাল সেল তৈরি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − sixteen =