বারাসত: পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। অভাব তাঁর নিত্য সঙ্গী। দিনে দিনে রোজগার কমছে। ব্যয় বাড়ছে হু হু করে। এর মধ্যেই বাড়ি বয়ে এল লক্ষী। ভাগ্যের জেরে ৬০ টাকার লটারি জিতে কোটিপতি হয়ে গেলেন তিনি। আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাবার জোগার। পাশাপাশি একটা ভয়ও কাজ করছে। ভয়ের চোটে টিকিট নিয়ে সোজা হাজির হলেন থানায়।
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর গাড়াপোতার এলাকার বাসিন্দা জ্যোতিগোপাল সরকার নামে ওই ব্যক্তি। স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই অঞ্চলেই বাস করতেন। ভাগ্য ফেরার আশায় অনেক বার টিকিট কেটেছেন। কিন্তু কোনওবার লাভ হয়নি। শেষের দিকে তিনি ধরেই নিয়েছিলেন, এবার তাঁর ভাগ্য ফিরবে না। তাই তিনি লটারির টিকিট কাটাও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সোমবার রাতে কয়েকজন বন্ধু তাঁকে টিকিট কাটতে বলেন। কিন্তু পয়সা নষ্ট হবে ভেবে তিনি টিকিট কাটতে চান না। বন্ধুদের চাপে পড়ে একপ্রকার বাধ্য হয়ে তিনি ৬০ টাকা দিয়ে একটা লটারির টিকিট কাটেন। আর রাতেই লটারি বিক্রেতা সোজা তাঁর বাড়িতে হাজির হন। জানান তাঁর অর্থলাভের কথা। খবরটা শোনার পরও তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। একাধিকবার তিনি লটারির টিকিটের নম্বর মেলান। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন।
কিন্তু কোটিপতি হওয়া তো চাট্টিখানি কথা নয়। আনন্দের সঙ্গে একটা ভয় তাঁর ওপর থাবা মারে। তাই মঙ্গলবার সকাল হতেই কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে টিকিট নিয়ে সোজা হাজির হন থানায়। তিনি জানান, বার বার টিকিটের নম্বর মেলাচ্ছিলাম, তাতেও বিশ্বাস হচ্ছিল না। আমার ভাগ্য খুলতে পারে, আমি ভাবতেও পারিনি। কিন্তু হয়েছে। সামনে ছেলের উচ্চমাধ্যমিক, ওর পড়াশোনার জন্য কিছু টাকা সরিয়ে রাখব। বাড়িটা ভালো করব। টাকা নিয়ে কী করব, এর বাইরে আমি কিছু ভাবতে পারিনি।