কলকাতা: সময়ের সঙ্গে বদলে গিয়েছে যুব সমাজের চাহিদা৷ এক বিংশ শতকে যুব সমাজের বেশিরভাগের সময় কেটছে মোবাইল, ইন্টারনেটে৷ স্মার্ট ফোনের যুগে সবার হাতে পেল্লায় ফোন সঙ্গে ইন্টারনেট৷ সেটা না থাকলে যেন আধুনিকতার স্বীকৃতি মেলে না৷ স্মার্ট ফোনে জনপ্রিয় যুগে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পাবজি গেম৷ কিশোর বয়স থেকেই পাবজিতে অংশ নেওয়ার জন্য পাগল৷ শুধু তাই নয় আধুনিক যুদ্ধ ও একাধিক যুদ্ধাস্ত্রের নিপুন ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়া এই গেমে মধ্যে ঢুকে টাকার নেশা৷ জুয়ার আসর৷
নিজেকে পাবজি সৈনিক হিসেবে জাহির করতে পারলে তাদের চোখে মুখে ঐজ্জ্বল্য ধরা পরছে৷ যেন এই মাত্র মহাকাশে পাড়ি দিয়ে চাঁদ স্পর্শ করে এসেছে৷ এই পাবজি খেলারও আবার কতগুলি শর্ত রয়েছে৷ সৈনিকদের দল গঠন করতে হয়৷ ওই দল যুদ্ধে জয় লাভ করতে নির্দিষ্ট মূল্যের অর্থ ও মেলে তাদের৷ আর তাতেই বাড়ছে উদ্বেগ৷
ঘরে বসে গেমে মেতেছে নতুন প্রজন্ম৷ পড়ায় পড়ায়, গ্রামে গ্রামে দেদার চলছে মোবাইল গেমের টুর্নামেন্ট৷ পাবজি গেমে উড়ছে হাজার হাজার টাকা৷ পরিস্থিতি এমনই, ফেসবুকে নিজেকে ‘পাবজি সোলজার’ হিসেবেও এখন পরিচয় দেওয়ার চল বেড়েছে৷ জানা গিয়েছে, পাবজি’র সৈনিকরা সর্বাধিক ২৫টা স্কোয়াড গড়ে খেলা চালিয়ে যেতে পারেন৷ আর তার মধ্যে লুকিয়ে জুয়ার হাতছানি৷ একটি স্কোয়াডে ৪ সৌনিক নিয়ে চলতে পারে খেলা৷ ৪টি ম্যাপে খেলার চালাতে হয়৷ রণকৌশল ঠিক করতে চালু আছে ভয়েস চ্যাট৷ ম্যাপ শেষ করতে ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হয়৷ দল জিতলে পুরস্কার পাওয়া যায়৷
আগে পাড়ায় ফুটবল কিংবা ক্রিকেট মতো পাবজি ক্লাব গড়ে চলছে প্রতিযোগিতা৷ মাথাপিছু গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা চলছে এই ধরনের টুর্নামেন্ট৷ ঘরে বসে দল সাজিয়ে প্রতিযোগিতা অংশ নিতে অনলাইনে টাকা জমা করার কাজ চলছে৷ পাবজির নেশায় হাজার হাজার টাকা উড়ছে অনলাইনে৷ আর তাতেই যেমন জুয়ার হাতছানি রয়েছে, তেমনই রয়েছে অনলাইনে প্রতারণার সম্ভবনা৷ ঝুকি নিয়ে খেলার টানে হাজার হাজার টাকা উড়িয়ে চলেছে যুব সমাজ৷