কলকাতা: বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতার মুখে চিঁড়ে সংক্রান্ত নয়া তত্ত্ব ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে বাংলায়৷ বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় আক্রমন করে এবার পাল্টা কর্মসূচি পালন করল তৃণমূল কংগ্রেস৷
আজ ধর্মতলায় নাগরিকত্ব আইন প্রতিবাদে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন মহিলা তৃণমূলের কর্মীরা৷ সেখানেই অভিনব প্রতিবাদ দেখান তৃণমূলের মহিলা নেতৃত্ব৷ কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মন্তব্যকে ঢাল করে এদিন তৃণমূল মহিলা তৃণমূলের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, বিজেপি নেতা যে মন্তব্য করেছেন, তাঁর তার প্রতিবাদে জানিয়ে রাজপথে বসে চিঁড়ে খেয়ে প্রতিবাদ করছেন৷ চিঁড়ে খেলেই যে কেউ অনুপ্রবেশকারী, তা বাঝোতেই রাজপথে নেমেন তাঁরা৷
পোশাক দেখে হামলাকারী চিহ্নিত করা যায় বলে নিজের মত প্রকাশ করেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ এবার সেই মোদির দলের নেতা খাদ্যাভ্যাস দেখেই বলে দিলেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী৷ পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে অদ্ভুত এক তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন৷ কৈলাস তাঁর তত্ত্বে জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে কিছু নির্মাণ হয়৷বিজেপি নেতার বাড়িতে কাজ কতে গিয়েছেন খেটে খাওয়া কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক৷ তাঁদের মধ্যে ছিলেন কিছু বাংলার শ্রেমিক৷ আর সেই শ্রমিকদের দেখেই কৈলাস বুঝে গিয়েছেন তাঁরা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী৷
প্রশ্ন হল কীভাবে তিনি চিনলেন? তাঁর মতে, ওঁদের খাওয়াদাওয়া খুব অদ্ভুত৷ কারণ তাঁরা চিঁড়ে খাচ্ছিল৷ চিঁড়েকে হিন্দিতে পোহা বলা হয়৷ আর সেই পোহা খেতে দেখে বিজয়বর্গীয় বুঝে গিয়েছেন, তাঁরা বাংলাদেশি৷
বিজয়বর্গীয় এই মন্তব্যের পর শোরগোল পরে গিয়েছে গোটা দেশে৷ কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বাম-কংগ্রেস৷ শ্রমিকদের খাদ্যাভ্যাস দেখে বিজেপি নেতা কীভাবে বললেন তাঁরা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী? নথির বদলে কি এবার খাদ্যাভ্যাস দেখে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করবে বিজেপি? প্রশ্ন বিরোধীদের৷