কলকাতা: সরকারি ছুটির তালিকায় সরস্বতী পুজোর ছুটি নিয়ে সরকারি কর্মীদের মধ্যে খুশির আবহ। কিন্তু এই ছুটি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে সরকারি স্কুলগুলির ক্ষেত্রে। এমনিতেই ২৬ শে জানুয়ারি রবিবার দিন হওয়ায় সরকারি কর্মীদের একটি ছুটি মার গিয়েছে সেক্ষেত্রে সরস্বতী পূজার ছুটি দুদিন অর্থাৎ ৩০ এবং ৩১ জানুয়ারি হওয়ায় সেই ঘাটতি পূরণ হয়েছে। বাড়তি পাওনা হিসেবে তারপর দু’দিন শনি ও রবিবার হওয়ায় সরকারি কর্মীরা পরপর চার দিন ছুটির আওতায় চলে আসছেন।
তবে সমস্যা দেখা দিয়েছে স্কুল ক্ষেত্রে কারণ পঞ্জিকা (গুপ্ত প্রেস) মতে শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথি শুরু হয়ে যাচ্ছে ২৯ শে জানুয়ারি অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকেই, তিথি শেষ হচ্ছে ৩০ শে জানুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ১০টা ৪৬ মিনিটে (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১টা ২০মিনিট)। এদিকে নির্ঘণ্ট অনুযায়ী বুধবার দিন ছুটির উল্লেখ করা নেই সরকারি ছুটির তালিকায়। ছুটি না মেলায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে স্কুলগুলিতে সরস্বতী পুজো নিয়ে। সে ক্ষেত্রে বহু স্কুলে নির্ঘণ্ট মেনে ২৯ শে জানুয়ারি পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
অথচ ছুটির দিন না হওয়ায় পর্ষদের নিয়ম মেনে স্কুলের কাজ স্বাভাবিক নিয়মেই বজায় রাখতে হবে। ক্লাস করানো না হলেও রোল কল করতেই হবে, শিক্ষকদের হাজিরা খাতায় সই করতে হবে। নিয়ম মেনে সরস্বতী পূজার পরদিনও স্কুল বন্ধ রাখা হয়। তাই পরদিন অর্থাৎ ৩০ জানুয়ারি এমনিতেই স্কুল বন্ধ থাকবে। এরপর সরকারি ক্যালেন্ডার মেনে ৩১ জানুয়ারিও স্কুল বন্ধ থাকবে। শিক্ষকদের কথায় পুজোর কাজের মধ্যে স্বাভাবিক নিয়মে স্কুলের কাজ চালিয়ে যেতে সমস্যা তৈরি হবে।
পাশাপাশি নির্ঘণ্ট মেনে ২৯ জানুয়ারি কোন স্কুল পুজোর আয়োজন করার মধ্যেও অযৌক্তিক কিছু দেখছেনা তাঁরা। কিন্তু সেদিন কোনো ক্লাস তো করানো যাবেনা তাই শুধু শুধু একটি কর্মহীন দিবস বাড়বে। যদিও পর্ষদ কর্তাদের মতে সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ছুটির তালিকা দেওয়া হয়েছে তাই ২৯ শে জানুয়ারি স্কুল খোলা রেখে পুজো হচ্ছে বলে অভিযোগ এখনো পর্যন্ত তাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সরস্বতী পুজোর দিন হিসেবে ২৯ শে জানুয়ারি ছুটির দাবি জানানো হয়েছে।