পরিচয়পত্র ছাড়াই স্কুলে ভর্তির নয়া ছাড় রাজ্য শিক্ষা দফতরের

গত ২১ জানুয়ারি সব জেলার প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকদের চিঠি পাঠায় রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনার সৌমিত্র মোহন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়  'বাংলার শিক্ষা' পোর্টালের পরিচয়পত্র (আইডি নম্বর) না থাকলেও প্রাথমিক ও হাইস্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি নিতে হবে।

কলকাতা: 'বাংলার শিক্ষা' পোর্টালের পরিচয়পত্র (আইডি নম্বর) না থাকলেও প্রাথমিক ও হাইস্কুলে ভর্তি নিতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। সরকারি নির্দেশিকা অনুসারেই এবার থেকে স্কুলগুলিতে ভর্তি নেওয়া যাবে। 

'বাংলার শিক্ষা' পোর্টালের পরিচয়পত্র না থাকায় চলতি শিক্ষাবর্ষে স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। এরপরেই সমস্যার সমাধানেই এগিয়ে আসে শিক্ষা দফতর। গত ২১ জানুয়ারি সব জেলার প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকদের চিঠি পাঠায় রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনার সৌমিত্র মোহন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়  'বাংলার শিক্ষা' পোর্টালের পরিচয়পত্র (আইডি নম্বর) না থাকলেও প্রাথমিক ও হাইস্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি নিতে হবে। 

স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনার চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, অন্য স্কুল থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রেও 'স্টুডেন্টস আইডি' না থাকলে তাঁদের ভর্তি নেওয়া যাবে এবং ওই সব পড়ুয়াদের 'বাংলার শিক্ষা' পোর্টালে যুক্ত করা যাবে।

প্রসঙ্গত, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই সরকারি প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পড়ুয়াদের বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত 'বাংলার শিক্ষা' পোর্টাল চালু করা হয়েছে । পোর্টালে প্রতি স্কুল পড়ুয়ার নাম, বয়স এবং কোন শ্রেণির ছাত্র, সেই তথ্য থাকাবে। পাশাপাশি, তাঁদের পরিচয় সূচক (আইডি) একটি নম্বর দেওয়া হয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে স্কুলে ছাত্রছাত্রী ভর্তির ক্ষেত্রে ওই পরিচয়পত্র রাখার নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা দফতর। তবে এখনও পর্যন্ত শিশু ও মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র এবং বেসরকারি স্কুলের সব ছাত্র-ছাত্রীদের   'বাংলার শিক্ষা' পোর্টালের অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি।

ফলে সেখানকার চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে উন্নীত হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের পোর্টালের আইডি নম্বর নেই। ওই নম্বর না থাকায় অন্য সরকারি প্রাথমিক বা হাইস্কুলে ভর্তি নেওয়ার সময়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। একই সমস্যার শিকার মাধ্যমিক স্কুল থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হতে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদেরও। সেক্ষেত্রে অভিযোগ ওঠে, পঞ্চম এবং নবম শ্রেণিতে আইডি নম্বর ছাড়া ভর্তি নিতে অস্বীকার করছেন সরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের একাংশ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *